পাকিস্তান সরকার অপারেশন বুনিয়ান-উম-মারসুসের সফলতা তুলে ধরে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে, কাশ্মীরের পেহেলগামে সংঘটিত হামলাটি ছিল ভারতের সাজানো নাটক বা ‘ফলস ফ্লাগ অপারেশন’।
প্রতিবেদনটিতে স্যাটেলাইট চিত্র, আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট ও অন্যান্য তথ্যপ্রমাণ সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রতবেদনে বলা হয়, পেহেলগেমে হামলার ঘটনার মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে, যা থেকে বোঝা যায় যে কোনো পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ছাড়াই পাকিস্তানকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। পাকিস্তান প্রস্তাব দিয়েছিল, একটি যৌথ তদন্ত নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হোক, কিন্তু ভারত প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, হামলাকে অজুহাত বানিয়ে ভারত পাকিস্তানের ভেতরে মুরিদকে, বাহাওয়ালপুর ও মুজাফ্ফরাবাদে হামলা চালায়, যেখানে বহু বেসামরিক নাগরিক নিহত হন এবং ধর্মীয় স্থানগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাকিস্তান এ আক্রমণের জবাবে সীমিত পরিসরে ‘নির্ভুল ও কঠোর’ সামরিক প্রতিক্রিয়া জানায়, যা শুধু ভারতীয় সামরিক স্থাপনাগুলোকেই লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়।
পাকিস্তান ভারতের একাধিক সামরিক ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরেছে এই প্রতিবেদনে। এরমধ্যে যেমন যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা, এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস ও ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন ও সংরক্ষণ কেন্দ্রগুলোতে হামলার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়।
এ ছাড়া দাবি করা হয়েছে, ভারত ড্রোনের মাধ্যমে সীমান্ত অঞ্চলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে এবং অতীতেও বহুবার এ ধরনের মিথ্যা হামলার নাটক করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের শেষে পাকিস্তান জানায়, তারা শান্তির পক্ষে এবং উত্তেজনা চায় না, তবে দেশটির ভূখণ্ড ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত।
