ঢাকা: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দুটি বিভাগে বিভক্ত করার সিদ্ধান্তটি সঠিক, তবে এটি যেভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে তা যথাযথ নয়- বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের সম্মাননীয় ফেলো (সিপিডি) ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, বিভক্ত করার বিষয়টি শ্বেতপত্রের সুপারিশগুলোর মধ্যে ছিল। কিন্তু পেশাদারদের জন্য স্থান সংকুচিত করে এবং অন্যান্য প্রশাসনিক ক্ষেত্রগুলোর ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ানো -এটি যথাযথ পরামর্শ ছাড়াই করা হয়েছে। এই পদ্ধতিটি ত্রুটিপূর্ণ এবং সংস্কারটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে।
সোমবার (১৯ মে) রাজধানীর একটি হোটেল এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত ‘বাংলাদেশ অর্থনীতি ২০২৫-২৬: নীতি সংস্কার ও জাতীয় বাজেট’ শীর্ষক এক সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এনবিআর কর্মকর্তাদের চলমান কলম-ধর্মঘটের ফলে সামগ্রিক রাজস্ব আদায় প্রভাবিত হতে পারে- এমন আশঙ্কা ব্যক্ত করে ড. দেবপ্রিয় বলেন, কর নীতিকে প্রশাসন থেকে পৃথক করার বিষয়ে এবং সংস্কার উদ্যোগে একাধিক অংশীদারদের সাথে বিস্তৃত পরামর্শ করা এবং এগুলো স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হওয়া উচিত।
বাজেট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে ভারত-বাংলাদেশ, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্ক জটিলতার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। একইভাবে বৈষয়িক অর্থনীতির পরিস্থিতিও খুবই জটিল। বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাপনা খুবই সংকটের মধ্যে আছে। এই সংকটের মধ্যেই আগামি বাজেট করতে যাচ্ছে সরকার। বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় জনসাধারণের অংশগ্রহণ ন্যূনতম। আমরা ঢাকার বাইরে কোনও বাস্তব সংলাপ দেখিনি, এমনকি রাজধানীর মধ্যেও বিভিন্ন গোষ্ঠীর উল্লেখযোগ্য অন্তর্ভুক্তি দেখিনি। আসন্ন বাজেট চারটি মূল ঘাটতির দ্বারা প্রভাবিত হবে। এগুলো হচ্ছে- সহযোগিতা ও অন্তর্ভুক্তির অভাব, দুর্বল সমন্বয় এবং সীমিত স্বচ্ছতা। বাজেটে রাজস্ব ব্যয়ের দুটি খাত সবচেয়ে বেশি হচ্ছে- প্রথমটি সুদ ব্যয় আর দ্বিতীয়টি ভর্তুকি। পরোক্ষ করের বৃদ্ধির হার সম্ভাবনা বেশি। এতে সাধারণ মানুষের ওপরই করের বোঝা বাড়বে।