নরসিংদী: নরসিংদীর মনোহরদীতে মাদরাসা শিক্ষক হাফেজ আবুল কালামকে (৩২) হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে বিক্ষোভ ও থানার অবস্থান নিয়েছে এলাকাবাসী।
সোমবার (১৯ মে ) সকালে নিহতের বাড়ি হাফিজপুর থেকে মিছিল নিয়ে মনোহরদী থানায় আসেন এলাকাবাসী। পরে থানার সামনে অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা।
নিহত আবুল কালাম উপজেলা চালাকচর ইউনিয়নের হাফিজপুর এলাকার আব্দুল আওয়ালের ছেলে। তিন মেয়ে সন্তানের পিতা আবুল কালাম পেশায় স্থানীয় একটি বেসরকারি মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে আবুল কালামের পিতা আব্দুল আওয়ালের সঙ্গে প্রতিবেশী শহিদউল্লাহর জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার (১৬ মে) দুপুরে গাছ থেকে আম সংগ্রহ করতে গিয়ে দুই পক্ষের মাঝে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার একপর্যায়ে শহিদুল্লাহ তার পরিবারের লোকজন নিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়। হামলায় আউয়াল (৬৫), আউয়ালের বড় ছেলে আবু বাক্কার (৪০), মেজো ছেলে আবুল কালাম (৩২) এবং আওয়ালের পুত্রবধূ হাবিবা (২৮) সহ পাঁচ জন গুরুতর আহত হয়।
এ সময় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে রোববার (১৮ মে) ভোরে আবুল কালামের মৃত্যু হয়। আজ সকালে ঢাকা থেকে মরদেহ আসলে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সসহ বিক্ষোভ নিয়ে থানার সামনে অবস্থান নেয় এলাকাবাসী। এ সময় হত্যাকারীদের ২৪ ঘণ্টার ভিতরে গ্রেফতারের দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। পরে পুলিশ আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের আশ্বাস দিলে ২ ঘণ্টার অবরোধ সরিয়ে নেয় বিক্ষোভকারীরা।
মনোহরদী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল জব্বার জানান, মারামারির ঘটনার দিনই থানায় মামলা হয়েছে। মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে বিবেচিত হবে। মরদেহ নিয়ে এলাকাবাসী থানার সামনে অবস্থান নিয়েছিল। এরই মধ্যেই এই ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়ছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যহত আছে।