গতকাল পর্যন্ত এভারেস্টজয়ী বাংলাদেশির সংখ্যা ছিল ৬ জন। আজ ১৯ মে (সোমবার) ৭ম বাংলাদেশি হিসেবে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট জয় করে নতুন ইতিহাস গড়লেন পর্বতারোহী ইকরামুল হাসান শাকিল। ‘সি টু সামিট’ নামে অভিযানে কক্সবাজারের ইনানী সৈকত থেকে হেঁটে এভারেস্টের চূড়ায় পৌঁছান তিনি। আজ দুপুর ২টা ১০ মিনিটে এভারেস্টশৃঙ্গ জয় করে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন শাকিল।
২০২৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি ইনানী সমুদ্রসৈকত থেকে শুরু হয় শাকিলের যাত্রা। চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ঢাকা, সিরাজগঞ্জ, পঞ্চগড় হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন তিনি।। জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং হয়ে ৩১ মার্চ পৌঁছান নেপালে। টানা ১,৪০০ কিলোমিটার হাঁটার পর ২৯ এপ্রিল পা রাখেন এভারেস্ট বেজক্যাম্পে।
১৬ মে থেকে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠার চূড়ান্ত অভিযান শুরু করেন শাকিল। একে একে ক্যাম্প–২, ক্যাম্প–৩ এবং ক্যাম্প–৪ অতিক্রম করে অবশেষে ১৯ মে এভারেস্টের শীর্ষে পা রাখেন তিনি। অভিযানের পর সুস্থভাবে ক্যাম্প–৪ এ ফিরে এসেছেন তিনি। পায়ে হেঁটে যাত্রা করে সবচেয়ে বেশি পথ পাড়ি দিয়ে দ্রুততম সময়ে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মাউন্ট এভারেস্ট জয় করে বিশ্বরেকর্ড গড়েছেন ইকরামুল।
ইকরামুল এর আগে হিমালয়ের ‘কেয়াজো-রি’, ‘দ্রৌপদী কা ডান্ডা-২’, ‘হিমলুং’ এবং ‘ডোলমা খাং’ পর্বতশৃঙ্গগুলো জয় করেছেন। এছাড়াও ২০২৩ সালে নেপালের পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত বিস্তৃত ১,৭০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘গ্রেট হিমালয় ট্রেইল’ হেঁটে পাড়ি দিয়েছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে এভারেস্ট জয় করেছিলেন মুসা ইব্রাহিম। ২০১০ সালে এই কীর্তি গড়েছিলেন তিনি। এরপর এম এ মুহিত, নিশাত মজুমদার, ওয়াসফিয়া নাজরীন, সজল খালেদ ও বাবর আলী এভারেস্ট জয় করেছেন।