ঢাবি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা অনুষদের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের হল পর্যায়ের নেতা শাহরীয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের দাবি, বিচারকার্যে প্রশাসনিক অসঙ্গতি ও গাফিলতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের ব্যর্থতা, দেশজুড়ে নাগরিক নিরাপত্তার বেহাল দশা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলার প্রসঙ্গে ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে ১১টি দাবি তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী।
সোমবার (১৯ মে) বিকেল ৪ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগার প্রাঙ্গণে তারা এসব দাবি তুলেন। তাদের দাবিগুলো উপস্থাপন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী রক্তবীজ অর্ক।
দাবিগুলো হলো-
- দ্রুততম সময়ে জুলাই যোদ্ধা শাহরীয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা।
- সাম্য হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার নিশ্চিতের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তরফ থেকে সাম্য’র পরিবারের সদস্য ও শিক্ষার্থী-শিক্ষক সমন্বয়ে একটি ‘বিচার নিশ্চিতকরণ কমিটি’ তৈরি করা।
- কমিটির তরফ থেকে নিয়মিত বিচারের অগ্রগতি উত্থাপন করা।
- তদন্তপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিতের জন্য সংশ্লিষ্ট সিসিটিভি ফুটেজ জন্মসম্মুখে উন্মোচন করা।
- দায়িত্বগ্রহণের নয় মাসে ক্যাম্পাসে দুই হত্যাকাণ্ডসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ।
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ দৃশ্যমান করা। বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় উদ্বাস্তু, পথশিশু ও ভ্রাম্যমাণ মানুষদের অত্র এলাকা থেকে সরিয়ে পুনর্বাসনের জন্য সমাজকল্যাণ অধিদফতরসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষকে চাপ প্রয়োগ করতে হবে।
- তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডসহ বিগত নয় মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিঘ্নকারী সকল ঘটনার যথাযথ বিচার নিশ্চিত করা।
- তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ড, ফ্যাসিবাদবিরোধী ঘৃণাস্তম্ভ মুছে ফেলা, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে লাশ ঝুলে থাকা, চারুকলার অভ্যন্তরে মোটিফ পুড়িয়ে ফেলাসহ নিরাপত্তাবিঘ্নকারী সকল ঘটনার বিচারের অগ্রগতি অনতিবিলম্বে উত্থাপন করা।
- বিচার নিশ্চিতে বিলম্বের জন্য দায়ী সকলের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
- ক্ষণিকা বাসে হামলার তদন্তসহ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বাইরেও শিক্ষার্থীরা যেসকল নিরাপত্তাঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে, সেসকল ঘটনার বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা।
- ক্যাম্পাস এবং নাগরিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তার জন্য কাঠামোগত ও নীতিগত সংস্কার: আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কার, মাদক-সন্ত্রাস দমন, নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি, এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও উদ্যানে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রযুক্তিনির্ভর করাসহ সার্বিক তৎপরতা।