রংপুর: রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার বালারহাট ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক নারী সদস্যকে ধর্ষণের ঘটনায় করা মামলায় চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত রতনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৯ মে) বিকেলে র্যাবের সহায়তায় ঢাকার শাহজাহানপুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান আবুল হাসনাত রতনের সঙ্গে ইউনিয়নের কাজের সুবাদে ওই নারীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৮ মার্চ সরকারি বরাদ্দ সংক্রান্ত আলোচনার কথা বলে চেয়ারম্যান তাকে রংপুর মহানগরীর ২১ নম্বর ওয়ার্ডের আদর্শপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় ডেকে নেন। সন্ধ্যায় চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) আল-আমিন তাকে বাসায় পৌঁছে দেন।
ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, আল-আমিন বাসা থেকে চলে যাওয়ার পর চেয়ারম্যান তাকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হলে চেয়ারম্যান জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। এ ঘটনার পরপরই তিনি কয়েকজন ইউপি সদস্যকে ফোনে বিষয়টি জানান। পরে চেয়ারম্যান বিষয়টি সমঝোতার প্রস্তাব দিয়ে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন। কিন্তু বিচার না পেয়ে অবশেষে থানায় মামলা করেন তিনি।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান জানান, জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে আত্মগোপনে থাকা ইউপি চেয়ারম্যান রতনের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে মামলার অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।