পঞ্চগড়: বাংলাদেশের একমাত্র চতুর্দেশীয় পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ভারতীয় নিষেধাজ্ঞার তেমন প্রভাব পড়েনি। ভারতের পক্ষ থেকে কিছু পণ্যের আমদানিতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলেও বাংলাবান্ধা দিয়ে রফতানি কার্যক্রম প্রায় স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা।
সোমবার (১৯ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাবান্ধা ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, এই বন্দর দিয়ে মূলত ঝুট কাপড়, আলু ও কিছু প্লাস্টিক পণ্য ভারতে রফতানি করা হয়। প্লাস্টিক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় সম্প্রতি এসব পণ্যবাহী কয়েকটি ট্রাক রোববার (১৮ মে) ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে ঝুট কাপড়ের রফতানির ক্ষেত্রে কোনো নিষেধাজ্ঞা না থাকায় রফতানি অব্যাহত রয়েছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের রফতানিকারক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বাংলাবান্ধা দিয়ে খুব বেশি পণ্য ভারতে রফতানি হয় না। তাই প্রভাবও কম। তবে পাথর বেশি আমদানি হয় এই বব্দর দিয়ে। কিছু দিন ধরে আলু রফতানি হচ্ছে সেটাও স্বাভাবিক রয়েছে।’
একই কথা বলেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নুর ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এই স্থলবন্দর দিয়ে রফতানির চেয়ে আমদানিই বেশি হচ্ছে। ভারত যে নিষেধাজ্ঞা করেছে সেক্ষেত্রে শুধু প্লাস্টিক পণ্যটি রফতানি হচ্ছে না। তবে বাকি সব পণ্য আমদানি ও রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে।’
বাংলাবান্ধা ল্যান্ড পোর্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এখান থেকে কাঁচামাল জাতীয় পণ্য রফতানি স্বাভাবিক রয়েছে। পলিস্টার, কটন রেকস বা ঝুট রফতানি গতকালও হয়েছে। শুধুমাত্র ফিনিশড পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, যেগুলো বাংলাবান্ধা দিয়ে রফতানি হয় না।”
এদিকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে নেপাল ও ভূটানের সঙ্গে আমদানি-রফতানি কার্যক্রমও স্বাভাবিকভাবে চলছে। শ্রমিক ও পরিবহনকর্মীরা জানায়, বন্দরে পণ্য ওঠানামা ও চলাচলে কোনো বাধা নেই। সার্বিকভাবে বন্দরের পরিবেশ স্বাভাবিক ও কার্যক্রম সচল রয়েছে।