সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা তিন গ্রামের প্রায় দশ হাজার বাসিন্দার জন্য চরম দুর্ভোগের কারণ। বর্ষাকালে এই বেহাল দশায় ভোগান্তি আরও বাড়ে। সংস্কারের আবেদন করেও কোনো ফল মেলেনি।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর পশ্চিমপাড়া আবু সিদ্দিকের বাড়ি সংলগ্ন হেরিংবোন রাস্তার মাথা থেকে চর ইসলামপুর ইছামতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তাটি বেহাল। সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা এবং শুকনো মৌসুমে খানাখন্দের কারণে চর ইসলামপুর, চর ইছামতি ও গোবিন্দপুর গ্রামের মানুষ সারা বছর ভোগান্তিতে থাকেন। কোমলমতি শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া ও কৃষিপণ্য পরিবহনে হয় অসুবিধা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও কথা রাখেননি। অন্যান্য গ্রামীণ কাঁচা সড়ক পাকা হলেও চর ইসলামপুর ও গোবিন্দপুর সড়কের চিত্র যুগ যুগ ধরে একই রকম রয়ে গেছে। এ কারণে ওই তিন গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।
স্থানীয় শিক্ষক মো. আবুল হাসেম, মো. আসাদুজ্জামান মানিক ও মো. জিয়াউর রহমান, মোছা. সুমাইয়া ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া, কৃষিকাজ, ফসল আনা-নেওয়া, গ্রাম থেকে শহরে যেতে নানাভাবে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে নিতে কষ্টের সীমা থাকে না। বর্ষায় ভোগান্তি বেড়ে যায় কয়েক গুণ। একটু বৃষ্টিতে হাঁটু পরিমাণ কাদা মাড়িয়ে চলতে হয় মানুষকে। সড়কের বেহালদশার কারণে সন্তানদের বিয়ে দিতেও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে অভিভাবকদের।
চর ইসলামপুর ইছামতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, রাস্তাটি পাকাকরণের দাবিতে প্রায় দুই বছর আগে স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগে আবেদন দিয়েছি। পরবর্তীতে সরেজমিনে প্রকৌশলীরা এসে সড়কটি পরিদর্শন করলেও সুফল মেলেনি।
সিরাজগঞ্জের স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের উপজেলা প্রকৌশলী মোছা. রোমানা আফরোজ বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি। রাস্তাটির সম্পর্কে আমার ধারণা নেই। পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।