ঢাকা: রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সহজ করার দাবি জানিয়েছে বিপ্লবী গণজোট। সেক্ষেত্রে নিবন্ধন শর্ত সংশোধন করে শুধুমাত্র দলের কেন্দ্রীয় কমিটি, অফিস ও গঠনতন্ত্র দিয়েই নিবন্ধন দেওয়ার আহ্বান জানান তারা।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুপুরে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন জোটের প্রধান সমন্বয়ক আব্দুল মোনেম।
বিপ্লবী গণজোটের সমন্বয়ক ও গণমুক্তি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনেম বৈঠক শেষে বলেন, “কমিশনের সঙ্গে কীভাবে আইনটি রিপ্লেস করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেছি। শুধু কেন্দ্রীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় অফিস ও গঠনতন্ত্র দিয়ে যেন নিবন্ধ করা যায় আমরা সেটা চেয়েছি।”
তিনি বলেন, “এক এগারোর সরকার নিবন্ধন আইন নামে জঘন্য আইন চালু করেছিল। এ নিয়ে আমরা আন্দোলন করে আসছি। শেখ হাসিনা সরকার এসে সেই নিবন্ধন প্রক্রিয়া আরও কঠিন করেছিল। এতে রাজনীতিকে এমন একটা কঠিন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল যে একটা দল চালাতে মাসে কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকা লাগবে। আমরা সেটার প্রতিবাদ করছিলাম। আজকে সে নিয়ে কথা বললাম।”
আন্তর্জাতিকভাবে একটা কমিটির বা অফিসের ভিত্তিতে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন হয় জানিয়ে তিনি বলেন, ”নির্বাচনি আইন ও নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারে নানা দাবি কমিশনের কাছে তুলে ধরা হয়েছে।”
এ ছাড়া মোনেম আরও বলেন, “আমাদের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে কোনো কোনো বিষয় পাইলটিং হিসেবে নেবে বলে জানিয়েছে কমিশন।”
তিনি বলেন, বিগত সরকারের সময় একটি রাজনৈতিক দল চালাতে মাসে ৩০ লাখ টাকার মত খরচ পড়ত। তবে আন্তর্জাতিক আইনে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন আরো সহজ হয়ে থাকে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে এই আইন করেছিল বলেও দাবি করেন তিনি।
এর আগে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন বিপ্লবী গণজোটের সাত সদস্যর প্রতিনিধি দল। সকাল ১১টার পর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে শুরু হওয়া এ বৈঠকে, সিইসিসহ চার নির্বাচন কমিশনার উপস্থিত ছিলেন।
আর বিপ্লবী গণফোরামের সাত সদস্যের প্রতিনিধি দলে বিপ্লবী গণজোটের সমন্বয়ক ও গণমুক্তি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনেম ছাড়াও আরও ছিলেন সর্বজনীন পার্টির সভাপতি নূর মোহাম্মদ মনির, গরিব পার্টির সভাপতি দিদার হোসেন, পিস ফোরামের আহ্বায়ক জসীম উদ্দিন রাজা, স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক অলক চৌধুরী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের পলিটব্যুরোর সদস্য আহমদ হোসেন ভূঁইয়া ও গ্রিন পার্টির মো. মোজাম্মেল হক।
উল্লেখ্য, নভেম্বরে গঠিত নতুন এ জোটের মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি, বাংলাদেশ গ্রিন পার্টি, বিপ্লবী গরীব পার্টি, বাংলাদেশ সর্বজনীন দল, বাংলাদেশ পিস ফোরাম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল ও প্রয়াত নেতা স্মৃতি সংসদ।