ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তলব করলেও হাজির হননি স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) তুহিন ফারাবি ও ডা. মাহমুদুল হাসান।
মঙ্গলবার (২০ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এসে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদবির বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানাবিধ দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে নামে-বেনামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে নিজেদের বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তারা কেউই হাজির হননি। এমনকি সময় বাড়ানোরও আবেদন করেননি।
দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন বলেন, ওই দুই ব্যক্তিকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সুযোগটি নেননি। যা একান্তই তাদের বিষয়। তবে তাদের অনুপস্থিতিতে দুদকের অনুসন্ধান থেমে থাকবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দেবে দুদক।
গত ১৫ মে তাদের তলব করে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। একই দিন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে ২১ মে এবং যুব ও ক্রীড়া এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার এপিএস মোয়াজ্জেম হোসেনকে ২২ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে চিঠি দেয় সংস্থাটি।
জানা গেছে, গত ২৭ এপ্রিল উপদেষ্টাদের এপিএস ও পিওর দুর্নীতি অনুসন্ধান শুরু করার দাবি নিয়ে দুদকে আসে যুব অধিকার পরিষদ। মার্চ টু দুদক কর্মসূচির অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে আসেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। পরে দলটির পক্ষ থেকে দুদকে স্মারকলিপি জমা দেয় একটি প্রতিনিধি দল।