Tuesday 20 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২০ মে ২০২৫ ২০:৪৩ | আপডেট: ২১ মে ২০২৫ ০০:১৬

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবার পাঁয়তারা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২০ মে) বিকেলে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক রুটনিন আই হসপিটালের কেবিন থেকে দলের যৌথসভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকের এই সভাটি আমি অত্যন্ত মূল্যবান ও তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করি। এ জন্য যে, এখন আবার নতুন করে একটা সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করবার এবং সত্যিকার অর্থে ফ্যাসিবাদমুক্ত একটা আধুনিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবার। সেখানে আমরা দেখছি একটা কালো ছায়া এসে দাঁড়াচ্ছে। অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া, জনগণকে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবার একটা পাঁয়তারা শুরু হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বিভাজনের রাজনীতি আবার শুরু হয়েছে। গোত্রে গোত্রে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারের বিভিন্ন ইনস্টিটিউশনকে পরস্পরের মুখোমুখি করার ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শুরু হয়েছে। আমরা দেখতে পারছি যে, কিছু মানুষকে সরকারের মধ্যে অনুপ্রেবশ ঘটিয়ে বাংলাদেশকে ভিন্ন দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে, ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ওপরে সবসময় গুরু দায়িত্ব এসে পড়ে। সেই দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করবার দায়িত্ব, বাংলাদেশকে নতুন করে গড়ে তোলবার দায়িত্ব, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার কাজ শুরু করেছিলেন, এখন যে তরুণ নেতা নতুন বাংলাদেশকে গড়ে তোলবার নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান; তাদের স্বপ্নগুলোকে, বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়ন করবার জন্য বিএনপির প্রতিটি নেতা-কর্মীকে অত্যন্ত সজাগ ও সচেতনভাবে কাজ করতে হবে এবং রুখে দাঁড়াতে হবে যেকোনো ষড়যন্ত্র-চক্রান্তের বিরুদ্ধে।’

বিজ্ঞাপন

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি অনুরোধ করব আমাদের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের, বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দলের যারা আছেন, যেখানে আছেন, অত্যন্ত সচেতনভাবে আমরা যেন এই বিষয়গুলো মনে রাখি। একইসঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যেন কেউ কেড়ে নিতে না পারে, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব যেন কেউ বিনষ্ট করতে না পারে, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে কেউ যেন কখনো ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচার দিয়ে দাবিয়ে রাখতে না পারে, সেজন্য বিএনপির প্রতিটি কর্মীকে অতন্দ্র ভূমিকা পালন করতে হবে।’

জিয়াউর রহমানের বর্ণাঢ্য জীবনকর্ম তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও আধুনিক দেশ করবার জন্য যে কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছিল, সেই কর্মযজ্ঞের সূচনা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। দুর্ভাগ্য আমাদের। আমরা এই ক্ষনজন্মা মহাপুরুষকে বেশি দিন ধরে রাখতে পারিনি।’

তিনি বলেন, ‘আজকে যারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে, যারা বাংলাদেশকে ১৫ বছর ধরে একটা ফ্যাসিস্ট শাসনের মধ্যে রেখেছিল, যারা এখনো ষড়যন্ত্র করে চলেছে সীমান্তের ওপার থেকে, আবারও জনগনকে তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করবার জন্য, বাংলাদেশের উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করবার জন্য— এরকম সময় জিয়াউর রহমানের নাম বারবার স্মরণ করতে হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে, ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে, কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছিলে। প্রায় ১৭শ নেতা-কর্মীকে এ্যানফোর্স ডিজএপিয়ারেন্সের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে আজকে একটা সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে যে, আমরা একটা নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করব।’

তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের যে স্বপ্ন, বেগম খালেদা জিয়ার যে স্বপ্ন, তারেক রহমানের যে স্বপ্ন, সেই স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকীতে আসুন শোক নয়, শোককে আমরা শক্তিতে পরিণত করি। আমারা এভাবে অনুপ্রাণিত হতে চাই, যাতে করে সমস্ত অপশক্তি পরাজিত করে আমরা যেন সত্যিকার অর্থেই গণতান্ত্রিক, আধুনিক এবং সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/পিটিএম

টপ নিউজ পায়তারা বিএনপি মির্জা ফখরুল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর