ম্যানচেস্টার সিটির অজেয় হয়ে ওঠার পেছনে যে কয়জন ফুটবলারের অবদান সবচেয়ে বেশি, তিনি তাদেরই একজন। মাঝমাঠে কেভিন ডি ব্রুইনা হয়ে উঠেছিলেন সিটির প্রাণ। সিটিতে ডি ব্রুইনার দীর্ঘ ১০ বছরের যাত্রা অবশেষে থামল। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে নিজের শেষ ম্যাচে মাঠে নেমেছিলেন ডি ব্রুইনা। তাকে চোখের জলেই বিদায় জানিয়েছে সিটিজেনরা।
২০১৫ সালে সিটির হয়ে অভিষেক হয় ডি ব্রুইনার। পেপ গার্দিওলার অধীনে সিটির মতো অজেয় হয়ে উঠেছিলেন তিনিও। সব টুর্নামেন্ট মিলিয়ে সিটির হয়ে ২৮৪ ম্যাচে ডি ব্রুইনা করেছেন ৭২ গোল, করিয়েছেন এর কয়েকগুণ।
সিটিজেনদের হয়ে এই এক দশকে ডি ব্রুইনা জিতেছেন সম্ভাব্য সব শিরোপাই। প্রিমিয়ার লিগ জিতেছেন ৬ বার, ইংলিশ কাপের শিরোপা জিতেছেন ৫ বার। সিটির হয়ে এফএ কাপ জিতেছেন ২ বার, কমিউনিটি শিল্ড ছুঁয়ে দেখেছেন ৩ বার।
সিটির বহু আরাধ্য চ্যাম্পিয়নস লিগও ঘরে এসেছে ডি ব্রুইনার অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্সের সুবাদেই। ২০২৩ সালে সিটির একমাত্র চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের সাক্ষীও ডি ব্রুইনা। একবার জেতা হয়েছে ইউয়েফা সুপার কাপ। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপও একবার জিতেছেন তিনি।
দলীয় পারফরম্যান্সের পাশাপাশি ডি ব্রুইনা জিতেছেন অনেক ব্যক্তিগত অর্জন। ৫ বার জায়গা করে নিয়েছেন ফিফার বর্ষসেরা একাদশে। ৫ বার ছিলেন প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা একাদশে। ইউয়েফার বর্ষসেরা একাদশে জায়গা পেয়েছেন তিনবার।
ডি ব্রুইনা ৩ বার জিতেছেন প্রিমিয়ার লিগ প্লেমেকার অ্যাওয়ার্ড। ২ বার হয়েছে প্রিমিয়ার লিগের মৌসুম সেরা ফুটবলার। ২ বার জিতেছেন ফুটবলারস অ্যাসোসিয়েশনের মৌসুম সেরা ফুটবলারের খেতাব।
এই মৌসুম থেকে সিটি ছাড়ছেন ডি ব্রুইনা। গত রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে তাকে বিদায় জানিয়েছে সিটিজেনরা। সিটি ছেড়ে কোথায় যাচ্ছে ডি ব্রুইনা, সেটা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, সৌদি প্রো লিগেই যেতে পারেন তিনি।