Wednesday 21 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসে ফের ডাকাতি, নারীদের শ্লীলতাহানীর অভিযোগ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২১ মে ২০২৫ ১৬:১১ | আপডেট: ২১ মে ২০২৫ ১৬:৫৪

আল ইমরান পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

টাঙ্গাইল: ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ফের যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২০ মে) মধ্যরাত থেকে বুধবার (২১ মে) ভোর পর্যন্ত যাত্রীবাহী একটি বাসের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ডাকাত দল যাত্রীদের সবকিছু লুটে নেয়। এ সময় নারী যাত্রীদের গায়ে হাত দিয়ে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ করেছেন কয়েকজন যাত্রী।

বাসের চালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে আব্দুল্লাহপুর থেকে আল ইমরান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস রংপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। পথে সাভারের নরসিংহপুর, বাইপাইল, আশুলিয়া থেকে কিছু যাত্রী উঠে। প্রায় ১০ জন নারীসহ ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি রাত ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী এলেঙ্গা অতিক্রম করে।

বিজ্ঞাপন

যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্তের সংযোগ সড়কের কয়েক কিলোমিটার অতিক্রম করার পর যাত্রীবেশে ১০/১২ জন ডাকাত ছুড়ি, চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রের মুখে চালকের কাছ থেকে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেয়।

বাসের সুপারভাইজার আতিকুর রহমান জানান, পরে তারা যাত্রীদের ও বাসের চালকসহ সকলের চোখ, মুখ বেঁধে ফেলে। যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্তের গোলচত্তর এলাকায় গিয়ে বাসটি ঘুরিয়ে আবার ঢাকার দিকে চলতে থাকে। চলাচলের সময় প্রত্যেক যাত্রীকে তল্লাশী করে মোবাইল, নগদ টাকা, সোনাগহনা এবং অন্যান্য মালামাল লুটে নেয়। তারা বাসটি নিয়ে সাভারের চন্দ্রা-আশুলিয়া পর্যন্ত যায়।

বাসের চালক আবেদ আলী জানান, রাতভর বাসটি নিয়ে ডাকাতরা ৪ থেকে ৫ বার টাঙ্গাইল ও চন্দ্রা-আশুলিয়া যাওয়া-আসা করে। পরে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে টাঙ্গাইল শহর বাইপাস সড়কের শিবপুর এলাকায় বাসটি রেখে ডাকাতদল চলে যায়। পরে বাসের যাত্রীদের নিয়ে সকালে টাঙ্গাইল সদর থানায় যায়।

বিজ্ঞাপন

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা বাসের স্টাফ ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন।

বাসের যাত্রী বগুড়ার আদমদীঘির জুয়েল মিয়া জানান, টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য নারী যাত্রীদের তল্লাশীর সময় শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটে। তার চোখমুখ বাঁধা ছিল।

রংপুরের এক বাস যাত্রী জানান, হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে ডাকাতরা প্রত্যেক যাত্রীর দেহ কয়েকবার করে তল্লাশী করে। যার যা কিছু ছিল সব নিয়ে যায়।

টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানবীর আহমদ বলেন, মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ডাকাত দলকে চিহ্নিত করতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এই মহাসড়কে ইউনিক রয়েলস এর একটি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানীর ঘটনা ঘটে। ২০২২ সালের ২ আগস্ট একই কায়দায় কুষ্টিয়াগামী একটি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনা ঘটে।

সারাবাংলা/এমপি

ডাকাতি বাস যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি