Thursday 22 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সুরমা নদীতে শতাধিক দোকান ও অর্ধশত বসতবাড়ি বিলীন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২২ মে ২০২৫ ১৮:২৬ | আপডেট: ২২ মে ২০২৫ ২০:৩০

টানা বৃষ্টিতে নদী গর্ভে বাজারসহ বসতবাড়ি

সুনামগঞ্জ: জেলার জামালগঞ্জ উপজেলায় টানা বৃষ্টি ও ভারী বর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুরমা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নদী তীরবর্তী এলাকায় তীব্র ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। গত চারদিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার তিনটি বাজারের প্রায় শতাধিক দোকান, ১৫টি গ্রামের অর্ধশত বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে গেছে।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সরেজমিনে উপজেলার গিয়ে এ চিত্র দেখা যায়।

এদিকে ভারী বর্ষণে হুমকির মধ্যে রয়েছে মন্নানঘাট বাজারের লঞ্চঘাট, রামনগর বাজার, সাচনা রামনগর সড়ক, আমানীপুর বাজার, চানপুর, সংবাদপুর দক্ষিণ কামলাবাজ, গজারিয়া, অলীপুর, রামপুর, নুরপুর গ্রামের অর্ধশত বসতবাড়ি বিলীনের পথে। নদী ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার। এসব মানুষ সুরমার ভাঙনের কবলে পড়ে অর্থনৈতিক সংকটে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

জামালগঞ্জ সদর ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল হুদা জানান, প্রতিবছর নদী ভাঙনে পালটে যাচ্ছে জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মানচিত্র। বিগত কয়েক বছরের সদর ইউনিয়নের তেলিয়া দক্ষিণ কামলাবাজ, নয়াহালট, চাঁনপুর, কদমতলী, লক্ষ্মীপুর, সোনাপুর, সংবাদপুর, মান্নানঘাট বাজারসহ কয়েকশত পরিবারকে ভাঙনের কবলে পড়ে অন্যত্র সরে যেতে হয়েছে। চলতি বছর বর্ষা মৌসুমে শুরুতেই পাহাড়ি ঢলে বড় ভাঙনের কবলে পড়েছে মন্নানঘাট বাজার। এই বাজার এই অঞ্চলের সবজি, কাঁচামাল ও টমেটোর জন্য প্রসিদ্ধ। বাজারে বিআইডব্লিউটির’র একটি জেটি রয়েছে। এই বাজার থেকে স্পিডবোর্ড, মোটরসাইকেলে করে প্রতিদিন ধর্মপাশা, নেত্রকোনার হাজারো মানুষ সুনামগঞ্জ জেলা শহরে যাতায়াত করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, অপরদিকে সাচনাবাজার ইউনিয়নের রামনগর বাজার, নুরপুর গ্রাম এবং সাচনা রামনগর বাজারের যোগাযোগের একমাত্র রাস্তাটি হুমকির মুখে। নুরপুর গ্রামে এ পর্যন্ত শতাধিক পরিবার নদী ভাঙনে ভিটামাটি হারিয়ে অন্যত্র চলে গেছেন। এই গ্রামের মসজিদটিও নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। জামালগঞ্জ-সুনামগঞ্জ সড়কের নোয়াগাঁও বাজার থেকে রূপাবালী গ্রামের পাশের রাস্তাটি ভাঙনের কবলে পড়েছে। জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের শরৎপুর, কামলাবাজ, লম্বাবাঁক, কালিপুর হিন্দু কালিপুর, হোসেনপুর, কামিনীপুরের বাজার সুরমার ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুশফিকীন নুর বলেন, ‘পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার সুরমা নদীর তীরবর্তী এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। পানি উন্নয়ন অধিদফতরকে এলাকা পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার বলেন, ‘নদী ভাঙনের বিষয়ে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সারাবাংলা/এইচআই

নদী ভাঙন ভারী বৃষ্টি সুনামগঞ্জ সুরমা নদী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর