ঢাকা: ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে আইনি ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। তিনি বলেন, হলফনামায় ২১ দশমিক ৯১ একর জমির তথ্য গোপন করেছেন শেখ হাসিনা। এজন্য ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২’ এর আওতায় হলফনামায় অসত্য তথ্য দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে ইসিকে অনুরোধ করা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নির্বাচনের আগে হলফনামায় ৬ দশমিক ৫০ একর কৃষিজমি; যার মূল্য এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা দেখিয়েছেন শেখ হাসিনা। কিন্তু দুদকের যাচাইয়ে তার নামে ২৮ দশমিক ৪১১ একর কৃষিজমি রয়েছে বেরিয়ে আসে। এর মধ্যে কেনার জমির মোট দাম ৩৩ লাখ ৬৬ হাজার ১০ টাকা। তিনি ২১ দশমিক ৯১ একর জমির তথ্য গোপন করেছেন। ক্রয়মূল্যও প্রকৃত দামের চেয়ে ৩১ লাখ ৯১ হাজার ১০ টাকা কম দেখিয়েছেন, যা হলফনামায় অসত্য তথ্য দেওয়ার শামিল।
চিঠিতে আরও বলা হয়, শেখ হাসিনা তৎকালীন মাগুরা-১ আসনের এমপি ডা. মোহাম্মদ সিরাজুল আকবরের শুল্কমুক্ত কোটা ব্যবহার করে ২ লাখ ৩০ হাজার ইউরো দামের একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি আমদানি করেন। ঋণপত্র-এলসির বিপরীতে ব্যাংক থেকে মোট ১ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করা হয়। গাড়িটি তার ধানমন্ডির বাড়ি সুধাসদনের ঠিকানায় নিবন্ধন করা হয়। গাড়িটি তিনিই ব্যবহার করেছেন। তবে সিরাজুল আকবরের আয়কর রিটার্ন কিংবা নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় এ গাড়ির কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তিনি নিজেও কখনো সেটি ব্যবহার করেননি বলে জানান।