ঢাকা: অবিলম্বে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে গণসংহতি আন্দোলন। বৃহস্পতিবার (২২ মে) গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ‘বাংলাদেশে অভ্যুত্থান পরবর্তী গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য বিচার প্রক্রিয়ায় গতি নিয়ে আসা এবং সংস্কার ও নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রোড ঘোষণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক বৈধতা হলো অভ্যুত্থানকারী সব রাজনৈতিক শক্তির অনুমোদন ও সমর্থন।’
তারা আরও বলেন, ‘ফলে এই ঐক্যের শক্তির ওপরে দাঁড়িয়েই একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নির্বাচনের পথরেখা তৈরি করতে হবে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, জাতীয় স্বার্থ, জাতীয় সার্বভৌমত্ব ইত্যাদি প্রশ্নে জাতীয় ঐক্যের কোনো বিকল্প নেই। ফলে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতেই এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে জনগণের সার্বভৌম অধিকার প্রতিষ্ঠাই রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক সব প্রথা, প্রতিষ্ঠান, আইন ইত্যাদির কাজ।
তারা আরও বলেন, ‘জনগণের কাছে সে অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে ফ্যাসিবাদ পরবর্তী বাংলাদেশে যে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে তা ধরে রাখার চেষ্টা করাই এখন রাজনৈতিক পক্ষগুলোর জন্য জরুরি কর্তব্য।’
গণসংহতির আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘সংঘাত নয় বরং এই ঐক্যের পথেই বাংলাদেশ তার নতুন রাজনৈতিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। আমরা সব দলকে সংঘাত নয় বরং আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পার্থক্য কমিয়ে আনার এবং পরস্পরের অবস্থানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বিচার, সংস্কার, নির্বাচন বিষয়ে একটি জাতীয় ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠায় আহ্বান জানাই।’