ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির বিরুদ্ধে তীব্র অভিযোগ তুলেছেন যে, তারা হামাসকে ক্ষমতায় রাখতে চায়।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ওয়াশিংটনে ইসরায়েলি দূতাবাস কর্মীদের ওপর হামলার পর এক ভিডিও বিবৃতিতে নেটানিয়াহু বলেন, ‘এই নেতারা যেন চাইছেন ইসরায়েল চুপ করে বসে থাকুক এবং হামাসের গণহত্যাকারী বাহিনী টিকে থাকুক।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্টারমার, ম্যাক্রোঁ ও কার্নি এমন এক পক্ষ নিচ্ছেন যারা গণহত্যা চালায়, ধর্ষণ করে, শিশু হত্যা করে এবং অপহরণ করে।’
ডাউনিং স্ট্রিট এখনো নেতানিয়াহুর বক্তব্যে সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানায়নি, তবে স্টারমারের পূর্ববর্তী এক বিবৃতির দিকে ইঙ্গিত করেছে যেখানে তিনি ওয়াশিংটনের হামলার নিন্দা জানিয়ে এটি দুঃখজনক ও অগ্রহণযোগ্য ঘটনা বলে মন্তব্য করেন। ওই পোস্টে তিনি ইহুদি বিদ্বেষকে মন্দ শক্তি হিসেবে আখ্যা দেন, যা নির্মূল করা জরুরি।
উল্লেখ্য, ১৯ মাস আগে ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও কানাডা ইসরায়েলের প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন ঘোষণা করেছিল। তবে চলতি সপ্তাহেই তারা গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ সম্প্রসারণকে অতিরঞ্জিত এবং মানবিক পরিস্থিতিকে অসহনীয় হিসেবে বর্ণনা করে কড়া সমালোচনা করে। এসব দেশ হুঁশিয়ারি দেয় যে, পরিস্থিতির উন্নতি না হলে তারা কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।
নেতানিয়াহু তার ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘হামাস চায় ইসরায়েল ধ্বংস হোক এবং ইহুদি জনগোষ্ঠী নিশ্চিহ্ন হয়ে যাক। আমি বুঝতে পারি না, এই সাধারণ সত্যটি কিভাবে ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডার নেতাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যায়।’
ইসরায়েলের এক মন্ত্রী, আমিচাই চিকলি, বলেন, স্টারমারসহ অন্যান্য নেতারা সন্ত্রাসের শক্তিকে সাহস দিচ্ছেন।
এদিকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্টারমার সম্প্রতি গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে সহ্যের বাইরে বলে অভিহিত করে ইসরায়েলের ত্রাণনীতিকে সম্পূর্ণ অপ্রতুল বলে মন্তব্য করেন।
গাজার হামাস-পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুযায়ী, এরপর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় অন্তত ৫৩ হাজার ৭৬২ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার ৫০০ শিশু রয়েছে।