দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের কাছে ক্লুফ সোনার খনির একটি খাদে ভূগর্ভস্থে ২৮৯ জন শ্রমিক আটকা পড়েছেন। দেশটির কর্তৃপক্ষ বলছেন, শ্রমিকরা নিরাপদে আছেন এবং তাদের উদ্ধারে কাজ করা হচ্ছে।
শুক্রবার (২৩ মে) গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে দেশটির মাইনিং এবং ধাতু প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান সিবানইয়ে স্টিলওয়াটার এর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২২ মে) জোহানেসবার্গ শহরের ৬০ কিলোমিটার পশ্চিমে ক্লুফ সোনার খনিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। আটকা পড়া ব্যক্তিরা ভূগর্ভস্থের একটি নির্দিষ্ট স্থানে একত্রিত হয়েছেন।
ঘটনাটি সম্পর্কে এক বিবৃতিতে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে প্রতিষ্ঠানের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, মাইনের সাত নম্বর শ্যাফটে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সব কর্মী নিরাপদ আছেন বলে তারা নিশ্চিত হয়েছেন। আটক শ্রমিকদের আপাতত খাবার সরবরাহ করেছে কর্তৃপক্ষ।
মুখপাত্র আরও বলেন, নিরাপত্তা পদ্ধতি এবং খাদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। যার পরে খনি শ্রমিকদের ভূপৃষ্ঠে তুলে আনা হবে। আমরা আশা করছি আজ দুপুরের মধ্যে পরিস্থিতির সমাধান হয়ে যাবে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় খনি দুর্ঘটনা অস্বাভাবিক নয়। সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে গভীর এবং প্রাচীনতম সোনার খনি রয়েছে।
এই বছরের শুরুতে, অবৈধ খনির কার্যকলাপ দমনের প্রচেষ্টায় পুলিশ কয়েক মাস ধরে খাবার ও পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর একটি অবৈধ সোনার খনি থেকে কমপক্ষে ৭৮ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।
দক্ষিণ আফ্রিকায় আর অল্প কিছু প্রতিষ্ঠানই রয়েছে, সোনাখনি থেকে যাদের মুনাফা অর্জন অব্যাহত রয়েছে। তাদের একটি হলো সিবানইয়ে স্টিলওয়াটার। প্রতিষ্ঠানটির মোট সোনা উত্তোলনের অন্তত ১৪ শতাংশ আসে এই ক্লুফ খনি থেকে। দুর্ঘটনার শিকার সাত নম্বর শ্যাফটে তারা প্রায় দুমাইল গভীরে খনন কাজ পরিচালনা করছে। একই সময় অন্য দুটি শ্যাফটে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে।