ঢাকা: ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর প্রাণ রক্ষার্থে তৎকালীন ও সাবেক মিলে ১৪ জন সংসদ সদস্যসহ ২৪ জন রাজনীতিক সেনানিবাসের অভ্যন্তরে আশ্রয় নেন।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাতে আশ্রয় নেওয়া এসব ব্যক্তিদের নাম পরিচয় প্রকাশসহ তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।
আশ্রয় নেওয়া রাজনীতিকরা হলেন— শিরিন শারমিন চৌধুরী (তৎকালীন স্পিকার), সামসুল হক টুকু (সাবেক ডেপুটি স্পিকার), জুনায়েদ আহমেদ পলক (তৎকালীন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী), সায়েদুল হক সুমন (তৎকালীন এমপি), নাজমা আক্তার (তৎকালীন এমপি), ছোট মনির (তৎকালীন এমপি), ইকবালুর রহমান (তৎকালীন এমপি), শাহজাহান খান (তৎকালীন এমপি), রাগিবুল আহসান রিপু (তৎকালীন এমপি), এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন, (তৎকালীন এমপি), এমএ লতিফ (তৎকালীন এমপি), কাজী নাবিল আহমেদ (সাবেক এমপি), হাবিবুন নাহার (তৎকালীন এমপি) ও মো. আবু জাহির (তৎকালীন এমপি)।
এ ছাড়া, মো. ইকরামুল হক টিটু (তৎকালীন মেয়র), মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী (তৎকালীন মেয়র, সিলেট সিটি করপোরেশন), জিয়াউর রহমান বিপ্লব (কাউন্সিলর, বরিশাল সিটি করপোরেশন), এসএম রফিউদ্দিন আহমেদ (ওয়ার্ড কাউন্সিলর), এসএম ফয়সাল আহমেদ রানা (ওয়ার্ড কাউন্সিলর) শরিফ কামাল (তৎকালীন চেয়ারম্যান, মিঠামইন উপজেলা), মো. মাহবুব আলম (তৎকালীন ইউপি চেয়ারম্যান, মাদারগঞ্জ), তালুকদার আবদুল খালেক (তৎকালীন মেয়র, খুলনা সিটি করপোরেশন), সুজন সাত্তার (পিএস টু এমপি)। এসব ব্যক্তিরা দেশের বিভিন্ন সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলেও জানানো হয়েছে।
আইএসপিআর জানিয়েছে, সে সময়ে শুধুমাত্র মানবিক দায়বদ্ধতার কারণে আইন বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড থেকে আশ্রয় প্রার্থীদের জীবন রক্ষা করাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। পরিস্থিতি উন্নয়ন সাপেক্ষে আশ্রয় গ্রহণকারীদের বেশিরভাগই ১ থেকে ২ দিনের মধ্যেই সেনানিবাস ত্যাগ করেন। এ ছাড়া, কাউকে তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ বা মামলার ভিত্তিতে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট হস্তান্তর করা হয়।