Saturday 24 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘২০১০ সালে পুঁজিবাজার থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা লোপাট, পাচার ১৫ হাজার কোটি’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৪ মে ২০২৫ ১৪:০৫ | আপডেট: ২৪ মে ২০২৫ ১৬:৫০

শনিবার (২৪ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কার্যালয়ে আয়োজিত সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য -(ছবি : সংগৃহীত)

ঢাকা: রাজনৈতিক সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ২০১০ সালে দেশের পুঁজিবাজার থেকে ২০ হাজার কোটি টাকা বের করে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে।

শনিবার (২৪ মে) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কার্যালয়ে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক আলোচনায় পুঁজিবাজার: দর্শন ও অনুশীলন’ শীর্ষক এক সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এমন তথ্য তুলে ধরেন।

বিজ্ঞাপন

ড. দেবপ্রিয় বলেন, শাস্তি না হলে অন্যায় ও দুর্নীতি রোধ করা যায় না। আমরা দেখেছি ১৯৯৬ সালে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় শেয়ারবাজারে অনিয়ম হয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে পথে বসিয়ে দেওয়া হয়। সে সময় বাজার থেকে বিপুল অর্থ বের করে নেওয়া হয়। এর কোনো বিচার হয়নি। আর বিচার না হওয়ার কারণে ২০১০ সালে আবারও একই ধরনের চিত্র দেখেছি।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে যারা অনিয়ম করেছেন, তাদের কেউ কেউ এখন জেলে আছেন। তবে তারা জেলে আছেন অন্য ঘটনায়। পুঁজিবাজারের অনিয়মের কারণে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারে সঞ্চয় বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ ও দক্ষতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিশ্বে কর্মসংস্থান সৃষ্টির ক্ষেত্রে পুঁজিবাজার অন্যান্য খাতের থেকে অনেক বেশি ভূমিকা রাখে। কিন্তু বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, সঞ্চয় ও দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সেই ভূমিকা রাখতে পারছে না। এর কারণ পুঁজিবাজারে যার যে ভূমিকা, তারা সেই ভূমিকা পালন করেনি।

বিজ্ঞাপন

‘যেসব প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজার পরিচালনা বা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করে, তারা কি নিজের সুশাসন নিশ্চিত করতে পারছে- এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, আমার দৃষ্টিতে পারছে না। কারণ বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থার থেকে চালাক। সুতরাং নিয়ন্ত্রক সংস্থায় যদি আরও বেশি চালাক ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া না হয়, তাহলে ঠেকিয়ে রাখা যাবে না।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারে অবস্থা আরও দুর্বল হচ্ছে। দীর্ঘদিন আইপিও বন্ধ। এছাড়া এরইমধ্যে সূচকে অনেক পতনের মাধ্যমে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। পুঁজিবাজারে এই মুহূর্তে যে সমস্যা আছে, এটা টোটকা ওষুধ দিয়ে সমাধান হবে না। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বড় উদ্যোগ নিয়ে সমাধান করতে হবে। আর যদি আলোচনা ছাড়া ঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেটাও ঠিক হবে না।

সংলাপে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আর প্যানেল আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএসইসি কমিশনার মো. মোহসিন চৌধুরী, পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. মাশরুর রিয়াজ, আইসিএমএবির সভাপতি মাহতাব উদ্দিন আহমেদ, জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কাউন্সিলের সদস্য মো. মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

সারাবাংলা/আরএস

ড. দেবপ্রিয় ভট্টচার্য পুঁজিবাজার

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর