ঢাকা: সড়ক পরিবহণ খাতের সব কার্যক্রম এক ছাতার নিচে আনার কথা বলেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী শেখ মঈনুদ্দিন।
শনিবার (২৪ মে) রাজধানীর বনানীতে, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ভবনে ‘সড়ক পরিবহণ খাতে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় টেকসই উদ্যোগ এবং সড়ক নিরাপত্তা কার্যক্রমের জন্য বাজেটে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা এই উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘সড়কে নানা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সময় সমন্বয়ের অভাব দেখা যায়। যেমন, কোনো লোকাল রোড হঠাৎ করেই হাইওয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যাচ্ছে, কোন ধরনের যান চলবে সেখানে, সে বিষয়ে কোনো পরিকল্পনা নেই। কোথাও সেতু তৈরি হয়েছে, কিন্তু সংযোগ সড়ক নেই। এসব সমস্যা দূর করতে পরিবহণ খাতকে একটি ছাতার নিচে আনতেই হবে।’
তিনি বলেন, ‘রোড সেফটি ইস্যুটাকে ফোকাসের মধ্যে আনার চেষ্টা চলছে। এজন্য ডেডিকেটেড একটি ইউনিট করে দেওয়া হবে। যারা সেফটিটা নিশ্চিত করবে।’
নিরাপদ সড়ক তৈরি করতে তার সরকার একটি ভালো দৃষ্টান্ত তৈরি করতে চায়। এজন্য গণমাধ্যমের সর্বাত্মক সহযোগিতা লাগবে। সকল স্টেকহোল্ডার একসাথে কাজ করলে সড়কে প্রাণহানির ঘটনা কমে আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংলাপে বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. ইয়াছীন বলেন, সারা দেশে প্রায় ৬ লাখ যানবাহনের কাগজপত্র এখনো হালনাগাদ হয়নি। এ ছাড়া প্রায় ৭৮ হাজার যানবাহন ভুয়া নম্বর প্লেট নিয়ে রাস্তায় চলছে, যাদের তালিকা ইতোমধ্যে ডিএমপি ও হাইওয়ে পুলিশকে দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. আব্দুল হামিদ, হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল হক, ব্র্যাকের রোড সেফটি প্রোগ্রামের পরিচালক আহমেদ নাজমুল হুসাইন, বিআরটিএর সাবেক বোর্ড সদস্য আবদুল হকসহ অনেকে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ সংলাপের সভাপতিত্ব করেন, রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিবছর সাড়ে ছয় হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করছেন। সংলাপে অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞরা বলেন, অপরকল্পিত উপায়ে সড়ক তৈরি, ফিটনেসবিহীন যান চলাচল, চালকদের প্রশিক্ষণের অভাব, পথচারীদের অসচেতনতাসহ সড়ক ব্যবহারকারীদের উদাসীনতায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
দুর্ঘটনা পরবর্তী চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করতে স্থানীয় সরকারী বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থার জন্য প্রশিক্ষণ ও অর্থ সহায়তা দেওয়ার কথাও বলেন বক্তারা।