বরগুনা: বরগুনার আলোচিত কলেজ ছাত্র অনিক হত্যা মামলার পলাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে দণ্ডাদেশের ছয় বছর পরে গ্রেফতার করেছে বরগুনা সদর থানা পুলিশ।
শনিবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে তথ্য জানান সদর থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান। এর আগে শুক্রবার (২৩ মে) রাতে তালতলী উপজেলা ফকির হাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আসামির মৃত্যুদণ্ড দ্রুত কার্যকরের জন্য দাবি জানিয়েছেন নিহত অনেকের বাবা।
বরগুনা সদর থানা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর পৌরসভার শহিদ স্মৃতি সড়কের সুবল চন্দ্র রায়ের ছেলে অনিককে কোমল পানীয়র সঙ্গে চেতনানাশক খাইয়ে ডিশ লাইনের তার দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পরে নিহতে বাবার কাছে তিন লাখ টাকা মুক্তপণ দাবি করেন হত্যাকারিরা। এর ১৮ দিন পর বরগুনা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের পুরাতন ভবনের পাশের সেপটিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের আগস্ট মাসের ৭ তারিখ প্রধান আসামি ঢলুয়া ইউনিয়নের কাঁঠালতলী গ্রামের আবদুস সত্তার গাজীর ছেলে সালাউদ্দিন গাজীকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করা হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পালিয়ে ছিল। সম্প্রতি তিনি দেশে আসলে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে। নিহত অনিকের বাবা সুবল চন্দ্র রায় আসামির দ্রুত মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন।
নিহত অনিকের বাবা সুবল চন্দ্র রায় বলেন, আমার ছেলে হত্যাকারীকে দীর্ঘদিন পর পুলিশ গ্রেফতার করতে পেরেছে এতে আমি অত্যন্ত খুশি। তবে তার বিরুদ্ধে যে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে তা দ্রুত কার্যকরের দাবি জানাচ্ছি।
বরগুনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ জগলুল হায়দার হাসান বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সালাউদ্দিন গাজি দীর্ঘদিন পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে পলাতক ছিল। সম্প্রতি দেশে এসে আত্মগোপনে ছিলেন। সদর থানার একটি চৌকস টিম তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামিকে তালতলীর ফকিরহাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে। দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।