পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে শনিবার (২৪ মে) থেকে শুরু হয়েছে ভারী বৃষ্টি ও তীব্র ঝড় যাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও ৯০ জন। এর পাশাপাশি, ভেঙে পড়েছে দেশটির বিদ্যুৎ ব্যবস্থা। সড়ক ও আকাশপথে যোগাযোগ ব্যাহত রয়েছে এবং বিভিন্ন অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রোববার (২৫ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন।
তবে পাঞ্জাবের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) বলছে, পাঞ্জাবের বিভিন্ন অঞ্চলে মুষলধারে বৃষ্টিপাতে অন্তত ১৩ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ৯২ জন আহত হয়েছেন। উচ্চ সতর্কাবস্থা জারি করে সংস্থাটি জানিয়েছে, রোববারও প্রদেশটির বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টি ও ঝড় বয়ে যেতে পারে।
পিডিএমএ’র দেওয়া তথ্যের বরাতে ডন জানায়, লাহোরে তিনজন, ঝিলমে দুইজন এবং রাওয়ালপিন্ডি, শেখুপুরা, নানকানা সাহিব, শিয়ালকোট, মিনওয়ালি, লায়্যা ও ঝাং-য়েতে একজন করে মারা গেছেন।
লাহোরে বৃষ্টির সময় দেয়াল ধসে ও বজ্রপাতে তিনটি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় আরও ছয়জন আহত হয়েছেন।
ঝিলমে দেয়াল ধসে ও বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া উড়ে আসা সোলার প্যানেলের আঘাতে আরও ৩২ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৬ জন পুরুষ ও ছয়জন নারী।
রাওয়ালপিন্ডিতে বজ্রপাতের মধ্যে দেয়াল ধসের ঘটনায় একজন নিহত ও একটি শিশুসহ ১১ জন আহত হয়েছেন।
বাকি অধিকাংশ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে প্রবল বৃষ্টির মধ্যে দেয়াল ধসে ও বজ্রপাতে। হতাহতের অনেকেই অনিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়ায় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। মুরিতে বৃষ্টির মধ্যে চলন্ত গাড়ি ছিটকে পড়ে দুইজন আহত হয়েছেন।
শেখুপুরায় ঝড়বৃষ্টির মধ্যে স্থানীয় একটি কারখানার ছাদ ধসে একজন শ্রমিক নিহত ও আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে শেখুপুরা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পাঞ্জাবের রিলিফ কমিশনার নাবিল জাভেদ বলেছেন, ঝড়ে আহতদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হবে।