পঞ্চগড়: পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় করতোয়া নদী সংলগ্ন এলাকা থেকে বাদশা মিয়া (৩৯) নামে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৫ মে) সকালে মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের কাউয়াখাল কাটাবাড়ি এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত বাদশা ইউনিয়নের আরাজী শিকারপুর বামনডুবি এলাকার ফারুক হোসেনের ছেলে। তিনি ঢাকায় থাকতেন। সেখানে বিভিন্ন পণ্য ফেরি করে বিক্রি করতেন।
জানা গেছে, প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন। দীর্ঘদিন থেকে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। রোববার সকালে বাদশা মিয়ার মরদেহ করতোয়া নদী সংলগ্ন এলাকায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। এসময় মরদেহের পাশে একটি ব্যাগ, মিষ্টির কার্টুন, পাউরুটি ও ঘাস মারার বিষের বোতল পাওয়া গেছে। তবে নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পায়নি পুলিশ। পারিবারিক দ্বন্দ্বে বাদশা মিয়া আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিহতের মামা লুৎফর রহমান বলেন, আমি সকালে ঘর থেকে গরু বের করে বাইরে গেলে একটি মরদেহ দেখতে পাই। গিয়ে দেখি আমার ভাগিনা বাদশা। পরে স্থানীয়দের ডাকাডাকি করলে তারাও ছুঁটে আসেন। তাকে কেউ হত্যা করেছে নাকি আত্মহত্যা করেছে জানিনা।
স্থানীয় মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মনসুর আলী জানান, বাদশা অনেকদিন ধরে ঢাকায় থাকতেন। তিনি কখন বাড়ি ফিরেছেন কেউ জানেনা। সকালে তার মরদেহ পাওয়া গেছে।
বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।