ঢাকা: বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে যারা নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাদের নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিলেন বাংলাদেশের মানুষ। ৫ আগস্টের পর তাদের দিয়ে নতুন ধরনের রাজনীতির প্রত্যাশাও ছিল অনেকের। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, ছাত্রদের মধ্যে যারা এখন নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাদের অনেকেই রাজনীতির মাঠে অনূর্ধ্ব-১৯।
রোববার (২৫ মে) দুপুরে সাবেক বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেফতারসহ বিচার অঙ্গন থেকে দলবাজ বিচারকদের সরানোর দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, বর্তমানে ছাত্রদের যে দল কাজ করছে, তাদের কথা ও আচরণে রাজনৈতিক ভাবগাম্বীর্য আসে না। এ কারণে মানুষ এ দলের নেতাদের আন্ডার নাইন্টিন বা অনূর্ধ্ব-১৯ দল মনে করে। অথচ বাংলাদেশের মানুষ তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু আশা করেছিলেন।
তিনি বলেন, ওই দলের একজনই আবার সুপ্রিম কোর্টের একটি আদেশের ব্যাপারে কথা বলেছেন। আমি তার ফেসবুকে ব্যাকগ্রাউন্ড দেখলাম। একসময় তিনি ছাত্রলীগ করতেন। তখন আমার মনে পড়ল যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনি। ১৯৯৩ সালে আদালত অবমাননার মামলায় তাকে রুল জারি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তার ছেলে পতিত স্বৈরাচারের আরেক দোসর শেখ ফজলে নূর তাপসও আদালত অবমাননার মামলা করা হয়েছে। এখন আবার আরেকজন। অতএব যিনি এ কথা বলেছেন, তার রাজনৈতিক পরিচয় হলো ওই মনি-তাপসদের।
বিএনপির এই আইন সম্পাদক বলেন, সময় আছে, থামান। দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে নিয়ে কথা বলার আগে দ্বিতীয়বার চিন্তা করুন। বালখিল্য কথা সব জায়গায় মানায় না। রাজনীতির মাঠে আন্ডার নাইনটিন হিসেবে অনেক ফাউল করেছেন। সুপ্রিম কোর্টের ক্ষেত্রে সতর্ক হবেন।
উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ একটা নির্বাচন চান। শিগগিরই নির্বাচন করার জন্য আমাদের দল থেকে বলে দেওয়া হয়েছে। দু-একজন উপদেষ্টার ইতিহাস দেখলে শঙ্কিত হই। বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের একজন আছেন, যিনি ১৯৯১ সালে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে ২৪৯টি ভোট পেয়েছিলেন। অথচ তিনিও এখন উপদেষ্টা।