ঢাকা: প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা আপনার বিরুদ্ধে নই। আপনার প্রতি সম্মান জানিয়েই আমরা কথা বলি। কিন্তু আপনার উপদেষ্টারা যখন বড় বড় কথা বলে তখন আমাদের কথা বলতে হয়।
‘‘আপনার একজন উপদেষ্টা বললেন— ‘আমি যদি বিদেশি নাগরিক হই, তাহলে তারেক রহমানের বেলায়ও তো সেই কথা থাকবে। আরে বেটা, বেয়াকুবের বেটা বেকুব! সে (তারেক রহমান) কোন স্ট্যাটাসে বিদেশে আছে? সে তো জাতিসংঘের সনদ অনুযায়ী সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ে অবস্থান করছে। তারেক রহমান দেশে থাকলে শেখ হাসিনা তাকে হত্যা করতো’’— বলেন রুহুল কবির রিজভী।
রোববার (২৫ মে) বিকেলে নয়াপল্টনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যশোরের নোয়াপাড়া পৌর কৃষকদলের সভাপতি তরিকুল ইসলামকে হত্যার প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী কৃষকদ এ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আমাদের অনাস্থা নেই। কিন্তু তাদের কথাবার্তা, চালচলন মানুষকে বিরক্ত করে তুলেছে।’ সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা অবিলম্বে নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন। অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন শেখ হাসিনা কেড়ে নিয়েছিল। শেখ হাসিনার সেই কেড়ে নেওয়া নির্বাচনের ধারায় যদি আপনারাও চলেন, তাহলে জনগণ মনে করবে শেখ হাসিনার গায়ের বাতাস আপনাদের শরীরেও লেগেছে। তাই ওই কাজ করবেন না।’
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় দেন। এর মধ্যে অনেক কাজ করা যায়। আপনারা সংস্কারের কথা বলছেন। সংস্কার করতে বেশি সময় লাগে না। দশ মাস সময় চলে গেছে। যদি ডিসেম্বরে নির্বাচন হয় আরও অনেক সময় বাকি আছে। এত সময় লাগার তো কথা না।’
রিজভী বলেন, ‘আজকে জনগণের কর্তৃত্ব নেই, নির্বাচিত সরকার নেই। জনগণ ভোট দিতে পারছে না। প্রায় ১৭-১৮ বছর জনগণ তার মনোনীত সরকার পায়নি বলেই কোনো জায়গায় প্রশাসন তার কর্তৃত্ব ফলাতে পারছেন না। পুলিশ কোনো কাজ করতে পারছে না। তারা নির্বিকার দাঁড়িয়ে আছে। সে কারণেই একের পর এক সমাজবিরোধী কাজ, হত্যা, সন্ত্রাস, খুন লেগে আছে। এখন তো শেখ হাসিনা নেই। তার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নেই। তার পরও কৃষকদল নেতা তারিকুল হত্যাকাণ্ডের শিকার হবে কেন?’
বিক্ষোভ মিছিলপূর্ব সমাবেশে কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুলসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।