নোয়াখালী: আর কয়েক দিন পরেই পবিত্র ঈদুল আজহা। গত বছরের বন্যার ধকল কাটিয়ে ঈদ সামনে রেখে বাজার ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন নোয়াখালীর খামারিরা। শেষ সময়ে তারা পশু পরিচর্যায় ব্যস্ত । এদিকে, দাম নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন খামারি ও ক্রেতা উভয়েই। খামারিদের দাবি, পশু খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাজারে এর কিছুটা প্রভাব পড়বে।
জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় মোট তালিকাভুক্ত খামারের সংখ্যা ৬ হাজার ৭২৬টি। এর মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছে ১২৮৭টি, বেগমগঞ্জে ৪৫০, চাটখিলে ৭০০, সেনবাগে ১০৬৮, কোম্পানিগঞ্জে ৯৭৪, হাতিয়ায় ৭৬৫, সোনাইমুড়ীতে ৫১১, সুবর্ণচরে ৫৪৭ এবং কবিরহাট উপজেলায় ৪২৪টি খামার রয়েছে।
এসব খামারে এ বছর মোট ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭২টি পশু উৎপাদন হয়েছে।
নোয়াখলী জেলার ৯টি উপজেলায় ষাড় রয়েছে ৫৩ হাজর ৯১৫টি, বলদ ৩৩ হাজার ৪৬৪, গাভী ১৩ হাজার ৮৮৪টি, মহিষ ৬ হাজার ৮৬৩, ছাগল ৪১ হাজর ৯২৪টি ও ভেড়া ১৩হাজার ৬২০টি।
জেলায় কোরবানি পশুর চাহিদা ১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৪টি, গবাদি পশুর (প্রাপ্যতা) ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৭২টি। কোরবানির পশুর উদ্বৃত্ত আছে ১৪ হাজার ৫৮৮টি।
সদর উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের বাহাদুর পুরের খামারি ফয়সাল বলেন, গত ৮ বছর ধরে আমাদের খামারে কোরবানির জন্য পশু পালন করা হয়। এ বছর খামারে প্রায় ৩০টি ষাঁড় বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। দাম ভালো পেলে লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারবো। কারণ পশু খাদ্যের দাম অনেক বেড়েছে।
বেগমগঞ্জ উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের খামারি গিয়াস উদ্দিন বলেন, গত তিন বছরে গরুর খাদ্যের দাম বেড়েছে অনেক গুন। যে কারণে খামারে এখন গরুর সংখ্যা কম। বিক্রিতে খরচ উঠে আসে না। এমন দামের কারণে অনেকে পশু পালনে আগ্রহ হারিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, গেল বছরের বন্যার কারণে খড়কুটার দাম বেড়েছে কয়েক গুন। বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার খাদ্যে দাম বেশি। দাম ঠিক মত না পেলে লোকসানের মুখে পড়তে হবে।
নোয়াখালী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম বলেন, জেলায় দুই শতাধিক কোরবানির পশুর হাট বসবে। এবার নোয়াখালীর চাহিদার চেয়েও ১৬ হাজার কোরবানি পশু বেশি রয়েছে। কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত করতে আমরা সার্বিক তত্ত্বাবধান করেছি। আমাদের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। তাছাড়া, পশুগুলো প্রাকৃতিক খাবার খেয়ে বড় হয়েছে।