ঢাকা: ‘দেশের বাইরে জিয়া পরিবারের কোনো সম্পত্তি নেই। পরিবার নিয়ে ১৭ বছর লন্ডনে রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাদের দেশে থাকতে দেওয়া হয়নি। দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এরপরও কানাডার বেগমপাড়া কিংবা অন্য কোনো দেশে এক ছটাক জমি কেনেননি তিনি। বাংলাদেশের বাইরে এক টাকার সম্পত্তিও কেউ দেখাতে পারবে না।’
সোমবার (২৬ মে) ডা. জুবাইদা রহমানের তিন বছরের সাজার বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানির সময় বিচারকের সামনে এ কথা তুলে ধরেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এসএম শাহজাহান।
এদিন শুনানি শেষে আপিলের রায় ঘোষণার জন্য ২৮ মে দিন ধার্য করেন হাইকোর্টের বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক বেঞ্চ।
দ্বিতীয় দিনের মতো আজ দুপুর ২টায় এ বিষয়ে শুনানি শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। আদালতে আপিলের পক্ষে শুনানি করেন এসএম শাহজাহান। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, জাকির হোসেন ভূঁইয়া ও মো. মাকসুদ উল্লাহ। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
সাংবাদিকদের আইনজীবী শাহজাহান বলেন, ‘যেসব সম্পত্তি তারেক রহমানের নামে দেখানো হয়েছে, একটিও জ্ঞাত আয়বর্হিভূত বা অসাধু নয়। সেনানিবাসে মইনুল রোডের ৬ নম্বর বাড়িটি জিয়াউর রহমানের পরিবারকে দিয়েছিল সরকার। বাড়িটির মালিক হন বেগম খালেদা জিয়া। কিন্তু এ বাড়ির জন্য তারেক রহমানকে ফাঁসানো হয়। এ মামলায় রায় দেন আদালত। ৩৩ টাকা মূল্যমানের গুলশানের সম্পদও সরকারের দেওয়া। অথচ তারেক রহমানের অর্জিত বা অবৈধ সম্পদ হিসেবে দুদকের মামলায় দেখানো হয়। দোষী সাব্যস্ত করে সাজাও দেন আদালত। বিচারের নামে এমন প্রহসন আমার ওকালতি জীবনেও দেখিনি।’
তিনি বলেন, ‘জুবাইদা রহমানের আপিল সামনে রয়েছে। তিনি আইন মেনে যথাযথভাবে আপিল করেছেন। আমাদের এখানে নজির আছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলা, গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের মামলা, জিয়া অরফ্যানেজ ট্রাস্ট ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তারেক রহমানের আপিল ছিল না। কিন্তু আমরা প্রধান বিচারপতির আদালতে আবেদন করেছিলাম, যদি মামলায় প্রমাণ না হয় তাহলে যিনি আপিল করতে পারেননি। আপিলকারীকে খালাস দিলে তার বেলায়ও প্রযোজ্য হবে। সে প্রার্থনা আদালত রেখেছেন। এরই মধ্যে তিন-চারটি মামলায় খালাস পেয়েছেন তারেক রহমান।’
এই আইনজীবী আরও বলেন, ‘আদালতকে আমরা বলেছি জুবাইদা রহমানের আপিল শুনতে গিয়ে যদি দেখেন যে তারেক রহমানের কোনো সম্পত্তি অসদুপায়ে অর্জিত না, তার জ্ঞাত আয়বর্হিভূত না, যদি জুবাইদা রহমান খালাস পান, এ খালাসের বেনিফিট আপিল না করলেও তারেক রহমানকে দিতে পারেন। দেওয়ার নজির রয়েছে। কোর্ট তখন সেগুলো দিতে বলেছে। আমরা আগামীকাল সেগুলো দাখিল করব। আশা করি ন্যায়বিচার পাবো। জুবাইদা রহমান খালাস পাবেন এবং তার স্বামী তারেক রহমানও খালাস পাবেন বলে আমরা আশাবাদী।’