ঢাকা: অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন, হয়রানি বন্ধ, মামলা প্রত্যাহারসহ সাত দফা দাবিতে মঙ্গলবার (২৭ মে) থেকে সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করবেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সোমবার ( ২৭ মে) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি থেকে তারা এ ঘোষণা দেন।
এক সংবাদ সম্মেলনে পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা গত চারদিন ধরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পেয়ে কর্মবিরতির মতো কর্মসূচি দিতে বাধ্য হয়েছি।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘তবে জরুরি বিদ্যুৎ সেবা এই কর্মসূচির আওতামুক্ত রেখে সারাদেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে কর্মবিরতি পালন করা হবে। সমিতিতে অবস্থানরত এমআরসিএমরা মঙ্গলবার সকাল ৯টার মধ্যে একযোগে সব রিডিং বই জমা দিয়ে শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কোনো রকম জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করতে চাই না। বিদ্যমান সংকট নিরসনে আমাদের সাত দফা দাবি মেনে নিতে প্রধান উপদেষ্টা এবং বিদ্যুৎ উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
সাত দফা দাবিগুলো হলো—
- পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মীদের ফ্যাসিবাদী কায়দায় দমন পীড়নের মাধ্যমে কর্ম পরিবেশ অস্থিতিশীলকারী, অত্যাচারী আরইবি চেয়ারম্যানের অপসারণ।
- এক ও অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের মাধ্যমে আরইবি-পবিস একীভূতকরণ অথবা দেশের অন্যান্য বিতরণ সংস্থার মতো পুর্নগঠন।
- মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার, লাইন শ্রমিক এবং পোষ্য কর্মীদের চাকরি নিয়মিতকরণ।
- মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারপূর্বক চাকরিচ্যুতদের নিজ পদে পুর্নবহাল।
- গ্রাহক সেবার স্বার্থে সকল হয়রানি ও শাস্তিমূলক বদলি আদেশ বাতিল এবং বরখাস্ত ও সংযুক্ত কর্মীদের অবিলম্বে পদায়ন করা।
- জরুরি সেবায় নিয়োজিত কর্মীদের আন্তজার্তিক নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা/ শিপটিং ডিউটি বাস্তবায়নের জন্য দ্রুত ঘাটতি পূরণ করতে হবে।
- পূর্নাঙ্গ সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন বোর্ড গঠন করে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
উল্লেখ্য, সারাদেশে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। তারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড একীভূত করে অভীন্ন সার্ভিস কোড বাস্তবায়নের পাশাপাশি অনিয়মিতদের নিয়মিত করাসহ দুই দফা দাবিতে গত ২০২৪ সাল থেকে আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছেন।