ঢাকা: রাজধানীর তিতুমীর কলেজে বন্ধ হল খুলে দেওয়ার দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীর মারধরে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে হেলাল উদ্দিন নাঈম (২৬) নামে এক শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে আহত অবস্থায় তাকে বিকেলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি বিভাগে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালে ভর্তি আহত নাঈম তিতুমীর কলেজ শাখার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এবং কেন্দ্রীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইমারজেন্সি ও ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেলের সদস্য।
আহত হেলাল উদ্দিন নাঈম বলেন, ‘দীর্ঘ নয় মাস যাবৎ কয়েকটি হল বন্ধ। সেই হল খোলার দাবিতে আমাদের সাধারণ শিক্ষার্থীরা সাত দিন যাবৎ আন্দোলন করছিল। আজকেও আন্দেলন করছিল তারা। দুপুরের দিকে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করেন। পরে আমি গিয়ে মোবাইল দিয়ে ভিডিও করছিলাম। ভিডিও শুরুর ৮-৯ সেকেন্ডের ভেতরে আমার উপর ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা হামলা করেন। পরে তারা আমাকে ভিসির রুমে নিয়ে কিছুক্ষণ আটকে রেখে মারধর করে আমার স্বীকারোক্তি নিতে চেয়েছিলেন। তারপরে আমার সহযোদ্ধারা সেখান থেকে আমাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসে।’
হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘আমি তিতুমীর কলেজে ১৭-১৮ সেশনের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র এবং কেন্দ্রীয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইমারজেন্সি ও ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেলের সদস্য। তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইমাম হোসেন, যুগ্ন আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম, আরিফ মোল্লা, রিমু হোসেন, আহ্বায়ক সদস্য আলামিন, জহিরুল ইয়ামিন, রানা আহমেদসহ সবাই আমার ওপর হামলা করেন। এ ঘটনায় আমিসহ অনেক শিক্ষার্থী ও সাংবাদিক আহত হয়েছে।’ তিনি আবেগ জড়িত কন্ঠে বলেন, ‘এজন্যই কী আমরা জুলাই আন্দোলন করেছিলাম?’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক বলেন, তিতুমীর কলেজ থেকে আহত অবস্থায় এক শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে। চিকিৎসার পর তাকে ক্যাজুয়ালটি বিভাগে ভর্তি দিয়েছেন চিকিৎসকরা।