ঢাকা: প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ের আজকের দৃশ্য অন্য দিনের চেয়ে আলাদা। সকাল থেকেই প্রতিটি প্রবেশদ্বারে সারিবদ্ধভাবে অস্ত্রসস্ত্রে অবস্থান নিয়ে আছেন সোয়াত, র্যাব, পুলিশ, বিজিবি আনসার বাহিনীর সদস্যরা। দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, ঢুকতে দিচ্ছেনা সাংবাদিকদেরও।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকাল থেকেই সচিবালয়ের প্রবেশদ্বারগুলোতে অতিরিক্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েত করতে দেখা গেছে। প্রথম গেটে সকালে পুলিশ, সোয়াত, আনসার থাকলেও ১১ টার পর এখানে যোগ হোন র্যাবের সদস্যরা। দুই নম্বর গেট যে গেট দিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রবেশ করা হয়। সেই গেটে সকাল থেকে আনসার ও পুলিশ মোতায়েন থাকলেও পরে বিজিবি সদস্যরা যোগ হোন। তিন নম্বর গেট আজ বন্ধ রাখা হয়েছে। আর নতুন গেট বন্ধ আগে থেকেই। পাঁচ নম্বর গেট খোলা থাকলেও সেখানেও পুলিশ আনসার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
এদিকে, এই পরিস্থিতিতে কেবল সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং যাদের স্থায়ী পাস রয়েছে তাদেরই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। যারা প্রবেশ করছেন তাদেরকে নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রবেশ করানো হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে ১ নম্বর গেটে দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মকর্তা মামুনুর রশিদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমাদেরকে বলা হয়েছে বেলা ১২টা পর্যন্ত কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। শুধু সচিবালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারী ছাড়া। যাদের প্রবেশ করতে দিচ্ছি তাদের চেক করে প্রবেশ করানো হচ্ছে।’ এতো চেক কেন করা হচ্ছে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘উপরের নির্দেশ রয়েছে।’
গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) সরকারি চাকরি (অধ্যাদেশ) ২০২৫ এর খসড়্য় চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। ওইদিন থেকে সচিবালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন সরকারি কর্মচারীরা। সচিবালয় কর্মকর্তা- কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের নেতৃত্বে সোমবার পর্যন্ত তারা প্রতিবাদ কর্মসূচী পালন করেন। এই কর্মসূচী অব্যাহত রাখার ঘোষণা আসে শেষ বিকালে। সে ঘোষণায় একই ধরনের কর্মসূচি পালনের জন্য সচিবালয়ের বাইরে থাকা সারাদেশের সরকারি দফতরে কর্মরত কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা। তারা আরও বলেন, এখন থেকে কোনো আলাদা সংগঠন কিংবা আলাদা ব্যানারে নয় সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সবগুলো সংগঠন মিলে “ বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরাম” এর নামে কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন তারা।