ঢাকা: জামায়াতে ইসলামী নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির রায় প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির কৃতিত্ব জুলাই গBআন্দোলনের অকুতোভয় নেতৃত্বের। এই সুযোগকে রক্ষা করার দায়িত্ব এখন আমাদের সবার।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এমন কথা উল্লেখ করেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া জামায়াতে ইসলামী নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় আজ মঙ্গলবার সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে এই রায় দেন সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পেলেন।
আলোচিত এই রায় ঘোষণার পরপরই ফেসবুকে পোস্ট করেন ড. আসিফ নজরুল। ওই পোস্টে তিনি আরও বলেন, ‘নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ থেকে খালাস পেয়েছেন জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম। দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে তার করা রিভিউ সর্বসম্মতিতে মঞ্জুর করেছেন প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগ। আজহারুলকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায় এবং মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে এর আগে আপিল বিভাগের দেওয়া রায় বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে আজকের রায়ে। এই ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টির কৃতিত্ব জুলাই গনআন্দোলনের অকুতোভয় নেতৃত্বের। এই সুযোগকে রক্ষা করার দায়িত্ব এখন আমাদের সবার।’
গত ৮ মে জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি শেষ হয়। ২৮ মে এই বিষয়ে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ।
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় এটিএম আজহারুল ইসলামকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন জামায়াত নেতা আজহারের আইনজীবী। ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর এটিএম আজহারুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এই রায় দেনন। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন এটিএম আজহারুল ইসলাম।