Thursday 29 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আওয়ামী লীগের শেষ অর্থবছর
আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ২৩ শতাংশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
২৭ মে ২০২৫ ১৪:০৫ | আপডেট: ২৭ মে ২০২৫ ১৫:০৩

ঢাকা: বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ অর্থবছরের বার্ষিক আর্থিক গোয়েন্দা তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দেশের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পুরো আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন এর আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২৩ শতাংশ বেড়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে বিএফআইইউ’র এ বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে তাদের কাছে পাঠানো ঋণসংক্রান্ত সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিবেদনের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩৪৫‌টি; যা আগের ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ১৪ হাজার ১০৬টি। অর্থাৎ এ ধরনের লেনদেন প্রতিবেদনের সংখ্যা বেড়েছে ৩ হাজার ২৩৯টি।

এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে এ সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৫৭১টি; ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ৫ হাজার ২৮০টি এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩ হাজার ৬৭৫টি।

প্রতিবেদনে জানা‌নো হয়, গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১৪টি আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছে।

বিএফআইইউ জানায়, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরের প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্যের পাশাপাশি একাধিক বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন এবং জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৪ সময়কালে বিএফআইইউর গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের সারসংক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাসমূহ হতে বিএফআইইউতে দাখিলকৃত বিভিন্ন রিপোর্টের পরিসংখ্যান তুলে ধরে বলা হয়, ২০২৩- ২৪ অর্থবছরে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাসমূহ বিএফআইইউতে সর্বমোট ১৭ হাজার ৩৪৫টি সন্দেহজনক লেনদেন বা কার্যক্রম প্রতিবেদন (এসটিআর/এসএআর) দাখিল করেছে। এটি পূর্ববর্তী ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৩ হাজার ২৩৯টি বা ২২ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেশি। এটি মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে রিপোর্টে প্রদানকারী সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদের সচেতনতা এবং বিএফআইইউর সক্রিয় ভূমিকা ও কর্মতৎপরতার প্রতিফলন বলে জানায় বিএফআইইউ।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, বিএফআইইউর প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক ও বিএফআইইউর উপপ্রধান মো. কাওছার মতিন, বাংলাদেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান, পরিচালক মহুয়া মহসীন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বিএফআইইউর প্রধান এএফএম শাহীনুল ইসলাম বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেয়। এসময় বেশকিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া পাচারকৃত ফেরত আনার লক্ষ্যে বিএফআইইউ তদন্তকারী সংস্থাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য অংশীজনদের সাথে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে।

সারাবাংলা/আরএস

আর্থিক খাত বিএফআইইউ সন্দেহজনক লেনদেন

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর