Saturday 07 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ছাত্রী হেনস্থার প্রতিবাদ করায় ঢাবি শিক্ষার্থীদের মারধর: বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিবাদ

ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট
২৭ মে ২০২৫ ১৪:৩৩ | আপডেট: ২৭ মে ২০২৫ ১৫:৪৮

আহত শিক্ষার্থীদের হাসপাতালে দেখতে যান ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।

ঢাকা: রাজধানীর চাঁদনী চক মার্কেটে ব্যবসায়ী কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে হেনস্থা ও অশালীন মন্তব্যের প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বুধবার (২৭ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতর হতে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ মারধরের এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তুললে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে প্রশাসন।

বিজ্ঞাপন

এদিকে, মঙ্গলবার (২৭ মে) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টারে আহত শিক্ষার্থীদের দেখতে যান।

উল্লেখ্য, গতকাল ২৬ মে সোমবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহেদুল ইসলাম, আয়াজুর রহমান এবং এক নারী শিক্ষার্থীসহ কাপড় কিনতে চাঁদনী চক মার্কেটে যান। কাপড় দামাদামি করে পরে নিবে জানিয়ে ফিরতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তি করে সংশ্লিষ্ট দোকানদার। তাৎক্ষণিকভাবে এর প্রতিবাদ করেন শাহেদুল ইসলাম ও আয়াজুর রহমান। পরে ওই দোকানের ম্যানেজার ও আশপাশের আরও বেশ কয়েকটি দোকানের লোকজন এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে মারধর করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী ঘটনাস্থলে গেলে মব সৃষ্টি করে তাদেরও মারধর করে ব্যবসায়ীরা। শিক্ষার্থী শাহেদুল ইসলামকে ৪০ মিনিট একটি কক্ষে আটকে রেখে ব্যবসায়ীরা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালায়। এ সময় তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।

মারধরে আহত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা. মোহাম্মদ মোর্তজা মেডিকেল সেন্টার ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ঘটনা জানাজানি হলে অপরাধীদের দ্রুত আটক করে বিচারের আওতায় আনতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিউমার্কেট থানার সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফারুক শাহ, সহকারী প্রক্টরবৃন্দ ও প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে আরও ৫০ জন ব্যবসায়ীকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে পুলিশ তিনজন অপরাধীকে গ্রেফতার করে। বাকী অপরাধীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছে নিউমার্কেট থানা পুলিশ।

সারাবাংলা/কেকে/এসডব্লিউ

ড. নিয়াজ আহমদ খান ঢাবির ছাত্রীকে হেনস্থা