রংপুর: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড থেকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণায় তার গ্রামের বাড়ি ও নির্বাচনী এলাকা রংপুরের বদরগঞ্জে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন স্বজন, এলাকাবাসী ও নেতাকর্মীরা। আজহারুল ইসলামের মুক্তির খবরে এলাকায় বাঁধভাঙ্গা উল্লাস করছেন তারা।
আজহারুল ইসলামের মুক্তির খবরে স্বজন, এলাকাবাসী ও নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতিক্রিয়া জানার চেষ্টা করেছে সারাবাংলা। তারা বলছেন, বিচার বিভাগের ইতিহাসে এই প্রথম মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি আপিল বিভাগের রায়ে খালাস পেলেন। দীর্ঘদিন পর হলেও এটিএম আজহারুল ইসলাম ন্যায়বিচার পেয়েছেন।
আজহারুল ইসলামের মুক্তি পরিবারের জন্য আনন্দের খবর জানিয়ে তার বড় ভাই এটিএম আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর আমার ছোট ভাই ফ্যাসিস্ট সরকারের কারাগার থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। আমরা তাকে আমাদের মাঝে ফিরে পাবো।’
জামায়াতে ইসলামীর বদরগঞ্জ উপজেলার কর্মী হুসাইন আলী বলেন, ‘একজন নিরপরাধ ব্যক্তিকে অন্যায়ভাবে এতদিন জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। আমরা আজকের এই রায়ে ভীষণ খুশি।’
বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের শিবিরের নেতা আকরাম হোসেন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচার ভুল ছিল। বিচারের নামে অবিচার হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন ভুল যেন আর না হয়। দীর্ঘদিন পর হলেও এটিএম আজহারুল ইসলাম ন্যায়বিচার পেয়েছেন।’
উল্লেখ্য, এটিএম আজহারুল ইসলাম রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার লোহানীপাড়া ইউনিয়নের বাতাসন গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রথম সভাপতি ছিলেন তিনি। গ্রেফতারের পূর্বে তিনি জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এবং ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ছিলেন। তিনি ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-২ (তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জ) আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।