Tuesday 27 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

লালমনিরহাটে বিমানবন্দর চালুর সিদ্ধান্তে ভারতের উদ্বেগ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
২৭ মে ২০২৫ ২১:২৯ | আপডেট: ২৭ মে ২০২৫ ২৩:২৩

ছবি: সংগৃহীত

দেশের স্বার্থে অনেক পুরনো লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি নতুন করে চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার বলে জানিয়েছিল সেনাসদর। তবে ভারতের দাবি চীনের সহায়তায় চালু হতে যাচ্ছে বিমানবন্দরটি। বাংলাদেশের এ সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন ভারত। বিমানবন্দরটি চালু করলে ‘পালটা ব্যবস্থা’ হিসেবে ভারত তাদের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাশহরের বিমানঘাঁটি চালু করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ মে) এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনটি লেখেন সাংবাদিক রত্মদ্বীপ চৌধুরী।

বিজ্ঞাপন

প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের সহায়তায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার বিমানঘাঁটি পুনরায় চালু করার বাংলাদেশের পরিকল্পনা ভারতীয় প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের লোকদের মধ্যে শঙ্কার বার্তা দিচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ২০ কিলোমিটারেও কম দূরেত্বে লালমনিরহাটে বিমানঘাঁটি চালু করার ফলে বেইজিং আক্ষরিক অর্থেই দিল্লির দোরগোড়ায় সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করতে পারবে বলে আশঙ্কা করছে ভারত।

প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়, চীন এ বিমানবন্দর সংস্কারে সাহায্য করলে তারা হয়তো সেখান থেকে সামরিক সরঞ্জাম যেমন ফাইটার জেট, রাডার ও নজরদারি যন্ত্র বসাতে পারে। এ কারণে, ভারত দ্রুত উত্তর-পূর্ব রাজ্যের ত্রিপুরার কাইলাশহর বিমানবন্দর সংস্কারের কাজ শুরু করেছে।

প্রতিবেদনে রত্মদ্বীপ চৌধুরী বলছে, কাইলাশহর বিমানবন্দরটি বেসামরিক থাকবে। তবে সামরিক বিমান চলাচলের জন্য প্রস্তুত রাখা হবে। এ পদক্ষেপ শুধু বাংলাদেশের লালমনিরহাটের জন্য নয়, বরং সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে ভারতের পক্ষ থেকে একটি সতর্কবার্তা হিসেবেও ধরা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এনডিটিভির প্রতিবেদন বলছে, গত বছর আগস্টে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হন। তার পরিবর্তে নতুন সরকার এসেছে, যারা ভারতের সঙ্গে তেমন ঘনিষ্ঠ নয় এবং চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছে। অতএব, চীনের সাহায্যে বাংলাদেশের এ বিমানবন্দরর সংস্কার ভারতের জন্য উদ্বেগের কারণ।

এতে আরও জানানো হয়, লালমনিরহাট বিমানবন্দর চালুর পালটা ব্যবস্থা হিসেবে ত্রিপুরার ‘কাইলাশহর বিমানবন্দর’ চালু করবে ভারত। ১৯৯০-এর দশকে বন্ধ হয়ে যায় এটি। ১৯৭১ সালের যুদ্ধে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল।

রত্মদ্বীপ আরও লিখেছেন, কাইলাশহর বিমানবন্দর সংস্কার হলে ত্রিপুরার বিমান যোগাযোগ অনেক উন্নত হবে। কারণ এখন ত্রিপুরায় একমাত্র বড় বিমানবন্দর আগরতলা শহরে। ২০২৫ সালের ২৬ মে, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের একটি উচ্চ পর্যায়ের দল এয়ারপোর্টটি পরিদর্শন করেছে এবং তারা সরকারকে পরবর্তী পরিকল্পনা জানাবে।

এর আগে সোমবার (২৬ মে) বিকেলে সেনাসদরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্স অধিদফতরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উল-দৌলা বলেন, ‘দেশের সামগ্রিক সক্ষমতা বাড়ছে, সে অনুযায়ী আমাদের প্রয়োজনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। লালমনিরহাট বিমানবন্দরটি দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকলেও প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে এটি নতুন করে সচল করা হচ্ছে।’

সারাবাংলা/এইচআই

বাংলাদেশ-ভারত ভারতের উদ্বেগ লালমনিরহাটে বিমানবন্দর