ঠাকুরগাঁও: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, খুনিদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন নয়। আপনারা ক্ষমতায় গেলে কী করবেন তা বাংলাদেশের মানুষ ভালো করে জানে। এখনি আপনারা কি করছেন, তা আমাদের কাছে দিনের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে ঠাকুরগাঁও শহরের অপরাজয় ৭১ চত্বরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আয়োজনে ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ হাফিজ উদ্দীনের সভাপতিত্বে এক জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে যারা তারাহুরা করছিল এদের ইতিহাস বাংলাদেশের মানুষ জানে। তাদের কার্যক্রম আমাদের কাছে পরিষ্কার। কারণ হাসিনা তিন ঘণ্টা আগেও জানতে পারেনি রান্না করা ভাত খেয়ে যেতে পারবে কিনা। হেলিকাপ্টারে পলাতে হবে জানতেন না। কিন্তু বাস্তবে পলাতে হয়েছে।’
তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি ২৬ জুনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করবেন। আর তারা ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চান। আমরা যখন জিজ্ঞাসা করব আপনারা কি চান না প্রয়োজনীয় সংস্কার, বলবে তা চাই। আমরা যদি বলি যারা খুনি এদের বিচার হোক তা চান কিনা, বলবে চাই। সরকার বলবে এটা করতে হলে সময়টা লাগবে।’
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি ওনাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আপনি হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত নিলেন কেন? তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে দেশ সুন্দর করার একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছিল, তখন আমি বুকভরা আশা নিয়ে দায়িত্বটা পালন করার জন্যে বিশ্বের কাছে আমাদের দেশটা যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, সে আশা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। কিন্তু দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র, চতুরমুখী ষড়যন্ত্রের চাপে আমি কাজ করতে পারছি না। এখন আমি যে উদ্দেশ্যে এসেছিলাম সেটা যদি না করতে পারি তাহলে এখানে বসে থেকে আমি করবোটা কি?’’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত ৫৩ বছরে আমরা কি পেয়েছি! দুনিয়ার ভিতরে চোরের দিক থেকে প্রথম হয়েছি। এদের পরিচালনায় আমরা পেয়েছি কিভাবে মানুষকে খুন, গুম করতে হয়। আমাদের দেশের টাকা চুরি অরে তারা বিদেশে বেগমপাড়া তৈরি করে।’
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব প্রকৌশলী মুহাম্মদ আশরাফুল আলম, কেন্দ্রীয় সহ-প্রশিক্ষণ সম্পাদক সেক্রেটারী জেনারেল মুফতি মানসুর আহমাদ সাকীসহ তৃণমূল নেতাকর্মীরা।