ঢাকা: খালাস পেয়ে কারামুক্ত হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম। মুক্ত হয়েই রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত ‘শুকরানা সমাবেশে’ যোগ দেন তিনি। এ সময় জামায়াতের নেতারা তাকে স্বাগত জানান। এ সময় জুলাই যোদ্ধাদের তিনি ধন্যবাদ জানান।
বুধবার (২৮ মে) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে বাংলাদেশ মেডিকেলের প্রিজন সেল থেকে তিনি মুক্তি পান তিনি। এ সময় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ শীর্ষ নেতারা তাকে বরণ করে নেন।
এ সময় এ জামায়াত নেতা বলেন, ‘আমি আদালতকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, তারা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এতদিন ন্যায়বিচার ছিল না।’
জুলাই যোদ্ধাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ‘৩৬ জুলাইয়ের মহাবিপ্লবী নায়কদের জন্য আমি মুক্তি পেয়েছি। তাদের অক্লান্ত আন্দোলন ও পরিশ্রমের মাধ্যমে স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন সম্ভব হয়েছিল।’
এ সময় তিনি দাবি করেন, একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের মাধ্যমে যাদের ফাঁসির কাষ্ঠে ঝোলানো হয়েছে, তাদের বিচারের নামে ‘হত্যা করা’ হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা যেখানে যে পর্যায়ে জড়িত। তাদের সবাইকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গতকাল এক রায়ে তাকে খালাস দেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ২০১৪ সালের মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে বলেন, অন্য কোনো মামলা না থাকলে আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে।
রায়ের অনুলিপি মঙ্গলবার রাতেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পাঠানো হয়। কারণ, বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য,একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা, হত্যা, অপহরণ, নির্যাতনের ছয় ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করে ২০১৪ সালে আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ২০১৯ সালে প্রথমবার আপিল শুনানি করে সেই রায় বহাল রেখেছিল তখনকার আপিল বেঞ্চ।ওই দুই রায় বাতিল করেছে এখনকার আপিল বিভাগ।