এবার ইসরায়েলকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইউরোপের দেশ জার্মানি। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী যোহান ওয়াডেফুল বলেছেন, ইসরায়েল মানবিক আইন লঙ্ঘন করায় যেসব অস্ত্র ব্যবহার করছে সেগুলো আর রফতানি করবে না বার্লিন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াডেফুল বলেছেন, গাজায় ব্যাপক বিমান হামলা এবং খাদ্য ও ওষুধের তীব্র সংকট পরিস্থিতিকে ‘অসহনীয়’ করে তুলেছে।
তিনি বলেন, জার্মানির ইসরায়েলের প্রতি ঐতিহাসিক সমর্থনকে ভুলভাবে ব্যবহার করা উচিত নয়।
ওয়াডেফুল বলেন, ‘আমাদের ইহুদিবিরোধীতার বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ লড়াই এবং ইসরায়েলের অস্তিত্ব ও নিরাপত্তার প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থনকে গাজা উপত্যকায় বর্তমানে চলমান সংঘাত ও যুদ্ধের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছেছি যেখানে আমাদের খুব সাবধানে পরবর্তী পদক্ষেপগুলো বিবেচনা করতে হবে।’ তবে তিনি এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত কিছু বলেননি।
এর আগে, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ ফিনল্যান্ডে এক সংবাদ সম্মেলনে গাজায় বিমান হামলার সমালোচনা করে বলেন, ‘এই হামলাগুলো আর হামাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রয়োজনীয়তা দ্বারা ন্যায্যতা পাচ্ছে না এবং ‘আর বোধগম্য নয়’।’
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের হামলার পর থেকে জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে আসছিল। তবে জার্মানির এই নীতি লঙ্ঘন হওয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসরায়েল নীতি পুনর্বিবেচনা করছে।
জার্মানি ছাড়াও গাজার পরিস্থিতি নিয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও কানাডা।