বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রক্রিয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার (২৭ মে) মার্কিন গণমাধ্যমে এই স্মারকপত্রে প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন বিদেশি ছাত্রদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়াকরণ সাময়িকভাবে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর একটি অভ্যন্তরীণ স্মারকপত্র অনুযায়ী, এই নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
রুবিওর পাঠানো বার্তায় ভিসা প্রক্রিয়া স্থগিত থাকার সময়সীমা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি। তবে তিনি কূটনৈতিক স্টাফদের আশ্বস্ত করেছেন যে, কয়েক দিনের মধ্যেই এ বিষয়ে বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হবে।
স্মারকপত্রে বলা হয়েছে, দূতাবাস এবং কনস্যুলেটগুলোকে ‘পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত ছাত্র বা এক্সচেঞ্জ ভিসার জন্য কোনো অতিরিক্ত অ্যাপয়েন্টমেন্টের অনুমতি না দেওয়ার’ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্মারকপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, পররাষ্ট্র দফতর ‘সকল ছাত্র ভিসা আবেদনের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া সম্প্রসারণের নির্দেশনা জারির পরিকল্পনা করছে।’
ভিসা প্রক্রিয়াকরণ স্থগিতের পাশাপাশি বিদেশি ছাত্রদের শত শত ভিসা বাতিলের উদ্যোগ নিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সামান্য আইনি লঙ্ঘন বা ফিলিস্তিনপন্থি বক্তব্য অথবা সমর্থনের কারণেই এমন হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, ‘আমরা দেশে কারা প্রবেশ করছে তাদের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিই। প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী রুবিওর উল্লেখিত লক্ষ্য হলো, এখানে আগত ব্যক্তিরা আইন সম্পর্কে সচেতন হবেন, তাদের কোনো অপরাধমূলক উদ্দেশ্য থাকবে না এবং তারা এখানকার অভিজ্ঞতায় অবদান রাখবেন, তাদের থাকার মেয়াদ যত দীর্ঘ বা স্বল্পই হোক না কেন।’
ব্রুস আরও জানান, ছাত্র ভিসার জন্য আবেদনকারীদের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা উচিত, তবে তাদের উচ্চতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি ভিসার জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে স্বাভাবিক প্রক্রিয়া এবং পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুন এবং যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকুন।’
এদিকে, গত সপ্তাহে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ছাত্র ভর্তির অনুমোদন বাতিল করে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে একজন ফেডারেল বিচারকের পদক্ষেপে এই সিদ্ধান্ত সাময়িকভাবে স্থগিত হয়।