ঢাকা: টিকিট কাউন্টার, প্লাটফর্ম কোথাও পা ফেলার জায়গা নেয়। ট্রেন স্টেশনে থামতেই ধাক্কাধাক্কি হুড়োহুড়ি করে ঢুকে যাচ্ছেন কামরায়। যারা জায়গা পাচ্ছেন না তাদেরকে মাইকে পরের ট্রেনে আসার জন্য বলা হচ্ছে। প্রতিটি কোচ যাত্রী ঠাঁসা অবস্থায় ছেড়ে যাচ্ছে স্টেশনগুলো থেকে।
বুধবার (২৮ মে) মতিঝিল থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রতিটি মেট্রোরেলের এই অবস্থা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মতিঝিল স্টেশন তো বটেই এর পরের স্টেশন সচিবালয় স্টেশনের টিকিট কাউন্টারগুলোতে যেন যাত্রীদের ভিড় উপচে পড়ছে। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে কেউ কেউ ফ্লোরেই বসে পড়েছে। তারা জানেন না কখন টিকিট পাবেন। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি হচ্ছে অসুস্থ রোগী, প্রবীণ নাগরিক ও শিশুদের। যাত্রীদের অভিযোগ দীর্ঘ সময় লেগে যাচ্ছে টিকিট পেতে। এদিকে যাদের এমআরটি বা র্যাপিড পাস রয়েছে তারাও দাঁড়িয়ে রয়েছেন লাইনে। বেলা আড়াইটার দিকে সেক্রেটারিয়েট মেট্রো স্টেশনের প্লাটফর্মের এক তিল জায়গা ফাঁকা ছিল না। তারওপরে ট্রেন আসতে দেরী করছে। বার বার মাইকে ঘোষণা দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের চাপে ট্রেন পৌঁছাতে দেরি করছে। আবার ট্রেন থামার পর যাত্রীদের চাপে দরজা আটকানো যাচ্ছে না। বার বার মাইকিং করে দরজা থেকে দূরে দাঁড়ানোর জন্য বলা হলেও যাত্রীরা শুনছেন না। ফলে স্টেশনগুলো থেকে ট্রেন ছাড়তেও দেরি করছে।
রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা শাহবাগ, পল্টন ও মতিঝিল ঘিরে নানা কর্মসূচি রয়েছে আজ বুধবার। জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রী নেতা আজহারুল ইসলামের মুক্তির পর শাহবাগ এলাকায় দলটির নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। সকাল সাড়ে আটটার পর তাদের অবস্থানকে কেন্দ্র করে পুরো শাহবাগ এলাকা জনসমুদ্রে পরিণত হয়। এদিকে ছাত্রদল যুবদল ও সেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে পল্টনে আয়োজিত বিএনপির তারুন্যের সমাবেশ ঘিরে এর আশে পাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ন এ স্থানগুলোতে অবরোধের কারনে শাহাবাগ ও এর আশে পাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গণপরিবহণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে ভেবে স্বল্প দূরত্বের যাত্রীরাও মেট্রোরেল বেছে নিয়েছেন। আর এতে অতিরিক্ত যাত্রী মেট্রোরেলে।