নোয়াখালী: জেলার সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নে ছাত্রদলকর্মী আবুল হোসেন রাফির (১৯) হত্যার অভিযোগে পল্লি চিকিৎসক গিয়াস উদ্দিন শাহিনকে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সোনাপুর-কবিরহাট-বসুরহাট সড়কের অশ্বদিয়া ইউনিয়নের ব্যাল্লাকোট্টা চাঁনমিয়ার মোড়ে নিহত রাফির স্বজন, এলাকাবাসী, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণে এ সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়।
এ সময় আন্দোলনকারীরা ছাত্রদলকর্মী রাফিকে হত্যার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও হত্যাকারী পল্লি চিকিৎসক গিয়াস উদ্দিন শাহিন গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন। রাফির হত্যাকারীকে গ্রেফতার ও ফাঁসির দাবিতে নানা রকম স্লোগান দেন তারা।
এ সময় সড়কের দুই পাশে যাত্রীবাহী ও পন্যবাহী যানবাহনের দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর নোয়াখালী ক্যাম্পের একটি টহল দল ও সুধারাম মডেল থানা পুলিশের পৃথক একটি দল ঘটনাস্থলে যান।
এ সময় সেনাবাহিনী ও পুলিশের পক্ষ থেকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে রাফির হত্যাকারীকে গ্রেফতার করার আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেন।
সুধারাম মডেল থানার এসআই মোজাম্মেল হোসেন জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার পর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে অশ্বদিয়া ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামে বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলছিলেন ছাত্রদলকর্মী আবুল হোসেন রাফি। খেলার মধ্যে এক বন্ধুর ঠোঁট কেটে গেলে পল্লী চিকিৎসক গিয়াস উদ্দিন শাহীনের (৬০) কাছে তাকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি চিকিৎসা দিতে অস্বীকৃতি জানালে রাফির সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রাফিকে ছুরিকাঘাত করেন শাহীন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় নেওয়ার পথে রাতে মারা যান রাফি।
এ ঘটনায় রাফির বাবা আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে পল্লি চিকিৎসক গিয়াস উদ্দিন শাহীনকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
সুধারাম মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামরুল ইসলাম জানান, ঘটনার খবর পর অভিযুক্ত পল্লি চিকিৎসক গিয়াস উদ্দিন শাহীন এলাকা থেকে পালিয়ে যান। তাকে ধরার চেষ্টা করছে পুলিশ।