ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়ে পাঁচ মাসের অন্ত:সত্তা হয়েছে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক মাদরাসা ছাত্রী। এ নিয়ে ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভূল্লী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম সরকার। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার ভুল্লী থানার কুমারপুর (দবিরপাড়া) গ্রামে।
গ্রেফতার দুইজন হলেন- উপজেলার ভুল্লী থানার কুমারপুর (দবিরপাড়া) গ্রামের মৃত সফিজ উদ্দীন ওরফে শুকারুর ছেলে আনছারুল ইসলাম (৪৫) এবং অপরজন হলেন একই গ্রামের মৃত আসির উদ্দীন ওরফে বিশারুর ছেলে আমছার আলী (৬৩)।
অভিযোগে জানা যায়, চলতি বছরের ১১ মার্চ ওই মাদরাসা ছাত্রী নিজ বাড়ির রান্নাঘরের পাশে ছাই ফেলতে গেলে একই গ্রামের শাহিনুর রহমান ওরফে বিশু (৪৩) তাকে টেনে হিঁচড়ে নিজের ঘরে নিয়ে দেশিয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এছাড়াও শাহিনুর রহমান ওরফে বিশু ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
আরও জানা যায়, গত ২১ মার্চ বাড়ির পাশে খেলতে গেলে আমছার আলী (৬৩) ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এখানেই শেষ নয় এরপরে গত ৩০ মার্চ ওই ছাত্রী পার্শ্ববর্তী আনছারুল হক (৪৫) এর বাড়ির টিউবওয়েলে পানি খেতে গেলে সেও তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ঘটনার কিছুদিন পর ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন দেখা দিলে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায় তার পরিবার। পরে স্থানীয় চিকিৎসক জানায় ওই ছাত্রী পাঁচ মাসের গর্ভবর্তী। পরে ওই ছাত্রীকে চাপ প্রয়োগ করলে সে ধর্ষণের ঘটনাগুলো পরিবারকে জানায়।
পরে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে একই গ্রামের তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে মঙ্গলবার (২৭ মে) পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। মামলার আরেক আসামি হলেন উপজেলার ভুল্লী থানার কুমারপুর (দবিরপাড়া) গ্রামের মৃত জনাব আলীর ছেলে মো. শাহিনুর রহমান ওরফে বিশু (৪৩)।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অপর আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।