রংপুর: রংপুর রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কালোবাজারি এবং রেলওয়ে কর্মচারীদের দায়িত্বে গাফিলতি পাওয়া গেলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে বুধবার (২৮ মে) বিকেলে দুদকের সমন্বিত রংপুর জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক শাওন মিয়া এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
অভিযান শেষে দুদক উপপরিচালক শাওন মিয়া জানান, রেলস্টেশন একটি গুরুত্বপূর্ণ জনসেবা কেন্দ্র। এখানে যাত্রীসেবায় অবহেলা বা দুর্নীতি বরদাস্ত করা হবে না। স্টেশনের পরিচ্ছন্নতার পরিবেশ খুবই নাজুক। ঈদকে কেন্দ্র করে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে, তাই যাত্রীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে স্টেশন কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় দায়িত্বরত কর্মীদের গাফিলতি পাওয়া গেছে। তাদের বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্টেশন কর্তৃপক্ষকে।’
অভিযানকালে দুদক কর্মকর্তারা স্টেশনের টিকিট কাউন্টার, প্ল্যাটফর্ম ও অফিস কক্ষ পরিদর্শন করেন। তারা স্টেশনকর্মীদের উপস্থিতি, দায়িত্ব পালনের অবস্থা এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনার মান যাচাই করেন। এ সময় স্টেশনের বাথরুম, প্ল্যাটফর্ম এবং যাত্রী বিশ্রামাগারগুলোতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মারাত্মক অভাব দৃষ্টিগোচর হয়।
টিকিট কালোবাজারি প্রসঙ্গে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বর্তমানে সরাসরি কালোবাজারির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে ঈদসহ বিভিন্ন উপলক্ষ্যে যারা এমন কাজে লিপ্ত হওয়ার চেষ্টা করবে, তাদের চিহ্নিত করে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’ কালোবাজারি চক্রের কাউকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও অভিযানে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এদিকে রংপুর রেলওয়ে স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত সুপারিনটেনডেন্ট শংকর গাঙ্গুলী বলেন, ‘বর্তমানে প্রায় সব টিকিট অনলাইনে বিক্রি হওয়ায় কালোবাজারি নেই বললেই চলে। তবে কেউ যদি অন্যভাবে কালোবাজারির চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেদিক থেকে আমরা সর্বদা সজাগ রয়েছি।’