Friday 30 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

নোয়াখালীতে ঘরে ঢুকে নারীকে হত্যা, পুকুরে মিলল লাশ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট
২৯ মে ২০২৫ ০৯:৩৩ | আপডেট: ২৯ মে ২০২৫ ১৩:৩৫

হাতিয়া থানা, নোয়াখালী।

নোয়াখালী: নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নে ঘরে ঢুকে আমেনা বেগম (৫১) নামে এক নারীকে ‘গলা কেটে’ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ ও নিহতের স্বজনেরা তাৎক্ষণিক হত্যাকাণ্ডের কোনো কারণ জানাতে পারেনি।

বুধবার (২৮ মে) রাত ১১টার দিকে উপজেলার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শতফুল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) ভোর ৪টার দিকে বাড়ির পাশের পুকুর থেকে আমেনার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

নিহত আমেনা বেগম একই উপজেলা ও গ্রামের মো. এমরান উদ্দিনের স্ত্রী। তিনি চার মেয়ে এবং দুই ছেলের জননী ছিলেন।

নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের বাসিন্দা আমিরুল মোমিন বাবলু বলেন, আমেনা বেগমের স্বামী স্থানীয় নিঝুমদ্বীপ বাজারে শুঁটকির ব্যবসা করেন। তার চার মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। দুই ছেলে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে পড়ালেখা করেন। একা বাড়িতে স্বামী-স্ত্রী দুইজন থাকতেন। বুধবার সন্ধ্যায় এমরান উদ্দিন বাড়িতে এসে দেখেন তার স্ত্রী নামাজ পড়ছেন। এরপর তিনি বাজারে চলে যান। এ সময় আমেনা বেগম ঘরে একাই ছিলেন।

বাবলু আরও বলেন, রাত ১১টার দিকে এমরান বাড়ি ফিরে দেখেন বসত ঘরের দরজা খোলা। ঘরে তার স্ত্রী নেই। ঘরের মেঝেতে রক্ত পড়ে আছে। তাৎক্ষণিক তিনি বিষয়টি আমাকেসহ স্থানীয় কয়েকজনকে ফোনে জানান। এরপর তার বাড়িতে এসে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে দেখতে পাই আমেনার রক্তাক্ত মরদেহ পুকুরের পানিতে ভাসছে।

নিঝুমদ্বীপ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই আব্দুল মান্নান বলেন, গলা কেটে আমেনা বেগমকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার পর ওই নারীর মরদেহ পুকুরের পানিতে ফেলা হয়। পরে পুকুর থেকে ভোরে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, এ ঘটনা কে বা কারা ঘটিয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ হত্যার রহস্য উদঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সারাবাংলা/ইআ

নারীকে হত্যা নোয়াখালী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর