ঢাকা: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথ ইস্যুতে সাংবিধানিকভাবে সিদ্ধান্ত নেবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে ইশরাককে মেয়র ঘোষণার গেজেট জারির বিষয়ে ইসির বক্তব্য শুনে এ আদেশ দেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ। একইসঙ্গে পর্যবেক্ষণসহ আপিল নিষ্পত্তি করা হয়।
এর আগে, বুধবার ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি শুরু হয়। পরবর্তী শুনানিসহ নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য শোনার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন। ইশরাকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এর আগে, সোমবার রিট খারিজের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেন আইনজীবী জহিরুল ইসলাম মুসা। পরবর্তীতে আপিল শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হক এ আদেশ দেন।
গত ২২ মে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে করা রিট খারিজ করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
হাইকোর্ট বলেছেন, ‘রিট করার এখতিয়ার না থাকায় খারিজ করা হয়েছে। একইসঙ্গে নির্বাচনি ফোরামের মামলা অন্য ফোরামে না গিয়ে এখানে আসা ঠিক হয়নি।’
গত ১৪ মে বিএনপির এই নেতাকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হিসেবে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বাসিন্দা মো. মামুনুর রশিদ। আবেদনকারীর আইনজীবী কাজী আকবর আলী।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। এতে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। এরপর শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।
সেই নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র পদে তাপস পেয়েছিলেন সোয়া চার লাখ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ইশরাক পান দুই লাখ ৩৬ হাজার ভোট। নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক।