Friday 30 May 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

জিয়ার দর্শন উন্নয়ন ও অগ্রগতির রক্ষাকবচ: মির্জা ফখরুল  

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৯ মে ২০২৫ ১৫:৫২ | আপডেট: ২৯ মে ২০২৫ ১৭:৫৬

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর।

ঢাকা: বিএনপির মহাসিচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মহান আদর্শ, দর্শন ও কর্মসূচি আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুসংহতকরণ, বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং দেশীয় উন্নয়ন ও অগ্রগতির রক্ষাকবচ।

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ছিলেন মহান স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পূণ:প্রবর্তক, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার, সফল রাষ্ট্রনায়ক। জীবদ্দশায় জাতির চরম দুঃসময়গুলোতে জিয়াউর রহমান দেশ ও জনগণের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেছেন। মহান স্বাধীনতার বীরোচিত ঘোষণা, ৭১’ এর মরণপন লড়াই এবং রাষ্ট্র বিনির্মাণে তার অনন্য অবদান রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘৭১ সালের প্রারম্ভে সারা জাতি যখন স্বাধীনতা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত, অথচ রাজনৈতিক নেতৃত্বের দ্বিধা ও সিদ্ধান্তহীনতায় দেশের মানুষ দিশেহারা, ঠিক সেই মুহুর্তে ২৬ মার্চ মেজর জিয়ার কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে স্বাধীনতার ঘোষণা সারা জাতিকে স্বাধীনতা যুদ্ধের অভয়মন্ত্রে উজ্জীবিত করে। ফলশ্রুতিতে দেশের তরুণ, ছাত্র, শ্রমিক, যুবকসহ নানা স্তরের মানুষ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হানাদার বাহিনীর শক্তিকে প্রতিহত করে দেশবাসী বিজয়ের দিকে ধাবিত হয়। বিজয় লাভের পর দেশীয় শাসকগোষ্ঠীর অগণতান্ত্রিক দমনমূলক শাসন শোষণের যাঁতাকলে মানুষের প্রাণ হয় ওষ্ঠাগত, দেশের মানুষের নাগরিক অধিকারগুলো হরণ করা হয়, গণতন্ত্রকে দেওয়া হয় মাটিচাপা। চালু করা হয় নির্মম একদলীয় দুঃশাসন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতাসহ মানুষের বাক ও চিন্তার স্বাধীনতাকে উচ্ছেদ করা হয় স্বেচ্ছাতন্ত্রের আক্রমণে। একদলীয় প্রভুত্ববাদের অধীনতার নাগপাশে বন্দি করা হয় সারা জাতিকে।’

বিজ্ঞাপন

‘চলমান অরাজকতার সেই সময়ে সিপাহী-জনতার মিলিত শক্তির মিছিলে জিয়াউর রহমান জাতীয় রাজনীতির পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হন। রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেই ফিরিয়ে দেন বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং সংবাদপত্রসহ নাগরিক স্বাধীনতা। গণতন্ত্রের ঐতিহাসিক সার্থকতা নিশ্চিত করেন। শুরু করেন উৎপাদনের রাজনীতির মাধ্যমে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী করা’- বলেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ির বদনাম থেকে খাদ্য রফতানিকারক দেশে পরিণত করেন। ব্যক্তিজীবনেও দুর্নীতি, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও সুবিধাবাদের কাছে আত্মসমর্পণকে তিনি ঘৃণা করতেন। তার অন্তর্গত স্বচ্ছতা তাকে দিয়েছে এক অনন্য ঈর্ষণীয় উচ্চতা। তার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের কারণেই বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পথচলা শুরু হয় এবং অর্থনীতি মজবুত ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই মহান জাতীয়তাবাদী নেতার জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারী শক্তি কখনোই মেনে নিতে পারেনি। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই দেশবিরোধী চক্র তার বিরুদ্ধে শুরু করে গভীর ষড়যন্ত্র। এই চক্রান্তকারীরা ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামের সার্কিট হাউসে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এই মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে একজন মহান দেশপ্রেমিককে দেশবাসী হারায়।’

তিনি বলেন, ‘রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা, নির্ভিক নির্মোহ রাষ্ট্রনায়ক শহিদ জিয়ার আদর্শ, দেশপ্রেম, সততা ও কর্মনিষ্ঠা আজ জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রেরণার উৎস।’

৩০ মে জিয়াউর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদযাপনের জন্য দল, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ী, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং দেশের সব স্তরের জনগণকে উদাত্ত আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এজেড/এনজে

জিয়ার দর্শন মির্জা ফখরুল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর