চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। আকাশে থাকা বিমানে বোমা কিংবা বোমা সদৃশ বস্তু পাওয়া গেলে যাত্রীদের কীভাবে নিরাপদে উদ্ধার করা যাবে এবং বোমা নিষ্ক্রিয় করে কীভাবে বিমানটিকে অক্ষত রাখা যাবে, তা-ই মূলত অনুশীলন করা হয়েছে এ মহড়ার মাধ্যমে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকালে অনুষ্ঠিত এ মহড়ায় অংশ নেয় বিমানবাহিনীর একটি এয়ারক্রাফট এএন-৩২ ও একটি হেলিকপ্টার এমআই-১৭। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া।
বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল সারাবাংলাকে জানান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক), বিমানবাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, সিএমপি, আনসার, কাস্টমস, ইমিগ্রেশন পুলিশ, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল, বিমানবাহিনী মেডিকেল টিম, বিমানবন্দরের মেডিকেল টিম, ফায়ার সার্ভিসসহ আরও বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা মহড়া অনুষ্ঠিত। ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী বিমান ছিনতাই, আগুন ও বোমা হামলার ঝুঁকি মোকাবিলার সক্ষমতা মূল্যায়নে দুই বছর পর পর এমন মহড়ার আয়োজন করা হয়।
মহড়ার দৃশ্যে দেখা যায়, দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৩০ জন যাত্রী নিয়ে একটি বিমান শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে উড্ডয়ন করে। বিমানটির কাল্পনিক কল সাইন নেপচুন-৭৮৯। শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরণের আনুমানিক ২৫ মিনিট আগে বিমানবন্দরের এটিসি টাওয়ারে একটি অপরিচিত ফোনকলে জানানো হয় যে, ফ্লাইটটিতে বোমা আছে।
বোমার সত্যতা পাবার পর বিমানবন্দরের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সংস্থার কাছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সহযোগিতা চাওয়া হয়। এর মধ্যে বিমানটি অবতরণ করে। তখন বিমানের ক্রুসহ ৩৩ জনকে নিরাপদে বিমান থেকে বের করে আনা হয়। আহত একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিমানবাহিনীর বিশেষ হেলিকপ্টারে ঢাকায় বিশেষায়িত হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এরপর রানওয়েতে অবস্থানরত বিমানটি থেকে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও পুলিশের সোয়াট টিমের মাধ্যমে দুটি বোমা উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করার দৃশ্য মহড়ায় তুলে ধরা হয়।