কুষ্টিয়া: জেলার মিরপুর উপজেলায় বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে ২২ দিনের শিশু সন্তানকে হত্যার পর খালের পানিতে ফেলের দেওয়ার অভিযোগে মা মিতা খাতুনসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) দুপুরে উপজেলার পোড়াদহ চিথলিয়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন— ইউনুস মালিথার মেয়ে শিশুটির মা মিতা খাতুন (২৫), সাইদুল মালিথার ছেলে প্রেমিক শেরেবুল মালিথা (৩২), শেরেবুলের বাবা সাইদুল মালিথা (৬৫) ও ভাবি মোছা. চাদনী খাতুন (৩৫)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৯ মাস আগে উপজেলার খলিসাকুন্ডি এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে রাজুর সঙ্গে বিয়ে হয় চিথলিয়া এলাকার মিতা খাতুনের। বিয়ের পর চাচাতো ভাই শেরেবুল ইসলাম সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ান মিতা। পরে মিতা জান্নাতি নামের একটি মেয়ের জন্ম দেন। সন্তান নিয়ে মিতা ও রাজুর মধ্যে বাকবিতণ্ডা হলে বাচ্চা নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন মিতা।
বাচ্চাটির পিতৃপরিচয় নিয়ে প্রেমিক শেরেবুলের সঙ্গেও বাকবিতণ্ডা হয় তার। পরে মিতা খাতুন শেরেবুল ও শেরেবুলের বাবা ও ভাবির সহযোগিতায় রোববার (২৫ মে) জান্নাতিকে হত্যা করে পার্শ্ববর্তী জিকে খালে ফেলে দেন। পরে স্বামী রাজুর নামে মিরপুর থানায় একটি মানবপাচার আইনে মামলা করেন মিতা।
এই ঘটনার পর মিরপুর থানা পুলিশ ঘটনার তদন্ত ও মিতা খাতুনকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে মিতা খাতুন সন্তান জান্নাতিকে হত্যার ঘটনার বিষয় স্বীকার করেন। পরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অন্য তিনজনকে গ্রেফতার করেন।
মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমিনুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘শিশুটির মা মিতা খাতুনের স্বীকারোক্তিতে আসামিদের গ্রেফতার করে তাদের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে আমরা জিকে খাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করি।’