বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদে ফারুক আহমেদের থাকা না থাকা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই চলছে নাটক। গত রাতে ৮ পরিচালকের অনাস্থা প্রস্তাবের পর তার মনোনয়ন বাতিল করেছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। বিসিবি সভাপতির দায়িত্বে থাকার শর্তও তাই স্বয়ংক্রিয়ভাবেই হারিয়ে ফেলেন ফারুক আহমেদ। আর এই ঘটনার পরপরই ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, আইসিসিকে এই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে অবগত করেছেন তিনি।
দেশে সরকার পরিবর্তনের পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের (এনসিসি) মনোনয়নেই বোর্ড পরিচালক হয়েছিলেন ফারুক। পরে পরিচালকদের ভোটে হয়েছিলেন বোর্ড সভাপতি। ৯ মাসের ব্যবধানে সেই মনোনয়ন বাতিল করল এনএসসি। বোর্ডের ৯ পরিচালকের মধ্যে ৮জনই তার বিপক্ষে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন। বিসিবি সভাপতি হওয়ার জন্য বিসিবির পরিচালক হওয়া বাধ্যতামূলক। এনএসসি ফারুকের মনোনয়ন বাতিল করায় তিনি এখন আর পরিচালক নন। ফলে তার বিসিবির সভাপতি পদে থাকাটাও যৌক্তিক নয়।
এমন ঘটনার পর ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন, আইসিসিকে পুরো ঘটনা জানিয়েছেন তিনি, ‘আমি কিছু ‘আনচ্যালেঞ্জড’ যেতে দেবো না, লড়াই করে যাবো। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেখবো। আমার সঙ্গে অন্যায় আচরণ করা হয়েছে। আমি আইসিসিতে জানিয়েছি। এরই মধ্যে সেক্রেটারির মাধ্যমে আইসিসি সভাপতি জয় শাহকে পুরো ব্যাপারটি জানিয়েছি। এছাড়া আইসিসির অন্তত ৫-৭ জন পরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি অবগত করেছি।’
ফারুক আহমেদের দাবি, তার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে, ‘আমি যে অন্যায়ের শিকার, আমাকে যে জোরপূর্বক পদচ্যুত করা হয়েছে, আমি এরই মধ্যে আইসিসিকে জানিয়েছি। আমার বিশ্বাস এবং আমি নিশ্চিত আইসিসি দ্রুতই তাদের অ্যাকশন শুরু করবে। দেখবেন আগামী ২-১ দিনের মধ্যেই বিসিবিতে আইসিসির চিঠি আসবে। ’
কয়েক বছর আগে শ্রীলংকান ক্রিকেট বোর্ড নিয়েও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছিল। সেবার আইসিসি সরাসরি হস্তখেপ করেই পরিস্থিতি সামাল দেয়। এবার বিসিবিতেও এমন কিছু ঘটার আভাস দিলেন ফারুক, ‘‘দুই বছর আগে শ্রীলঙ্কায়ও এমন ঘটনা ঘটেছিল। শ্রীলঙ্কায় মন্ত্রীপরিষদ পুরো বোর্ড ভেঙে দিয়েছিল। তখন আইসিসি ত্বরিৎ পদক্ষেপ নিয়ে পুরো বোর্ডকে আবার পূনর্বহাল করে।’
